স্থল অভিযান খুব শিগগিরই শুরু হবে : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় সক্রিয় কথিত ‘মাদক পাচারচক্রের’ বিরুদ্ধে শিগগিরই নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন’ উপলক্ষে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘স্থল অভিযান খুব শিগগিরই শুরু হবে।’

ট্রাম্প বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভেনেজুয়েলার মাদক কারবারিদের ঠেকাতে মার্কিন বাহিনী কাজ করছে। সমুদ্রপথে মাদক আসা কমে গেলেও এখন স্থলপথে পাচার বন্ধের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা তাদের সতর্ক করছি আমাদের দেশে বিষ পাঠানো বন্ধ করো।”

মাসজুড়ে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শনের পর ট্রাম্পের এ মন্তব্য ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য নতুন উদ্যোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

এর আগে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তার ঘনিষ্ঠদের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’-এর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

‘কার্টেল দে লস সোলেস’ নামের যে গোষ্ঠীকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো সংগঠিত চক্র নয়; বরং ভেনিজুয়েলার সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বোঝাতে ব্যবহৃত একটি শব্দ। এই ঘোষণা অনুযায়ী, মাদুরো সরকারের সম্পদে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে, তবে এতে সরাসরি সামরিক হামলার অনুমোদন নেই।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্যানুসারে, ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ নামে অভিযানের অংশ হিসেবে এখন অঞ্চলে ১৫ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা এবং এক ডজনেরও বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। মাদকবাহী নৌকা লক্ষ্য করে আগের হামলাগুলোতে ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

তবে মার্কিন প্রশাসন আগে কংগ্রেসকে জানায়, ভেনেজুয়েলার ভেতরে স্থল হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং বর্তমানে এমন কোনো আইনি ভিত্তিও নেই যা স্থল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার অনুমতি দেয়। বিচার বিভাগ কংগ্রেসকে জানিয়েছে, সমুদ্রে মাদকবাহী নৌকায় হামলার যে আইনি মতামত দেওয়া হয়েছে, তা ভেনেজুয়েলার ভেতরে হামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

যদিও ভবিষ্যতে কী ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তা একেবারে উড়িয়ে দেয়নি প্রশাসন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন পুরো অভিযান জুড়ে কংগ্রেসকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। বিচার বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, কথিত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালাতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না এবং বহু বছর আগে প্রণীত যুদ্ধক্ষমতা আইন এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে বাধ্য করে না।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, নামছে তাপমাত্রা Dec 14, 2025
img

উইমেন’স বিগ ব্যাশ

লির দুর্দান্ত ইনিংসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল হোবার্ট হারিকেন্স Dec 14, 2025
img
দেশকে যারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না: প্রিন্স Dec 14, 2025
img

লিগ ওয়ান

মেজের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরল পিএসজি Dec 14, 2025
img

ইসির পরিপত্র জারি

গণভোটের ব্যালট হবে গোলাপী, ফেলতে হবে একই বক্সে Dec 14, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

এভারটনের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতে শীর্ষ চারে চেলসি Dec 14, 2025
img
হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক গ্রেপ্তার Dec 14, 2025
img
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে : জবি উপাচার্য Dec 14, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

উলভসের ২ আত্মঘাতী গোলে জয়ে ফিরল আর্সেনাল Dec 14, 2025
img
সুদানে ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘের নিন্দা Dec 14, 2025
img
নাটোরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাবেক এমপি পুত্রের প্রাণহানি Dec 14, 2025
img
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া Dec 14, 2025
img

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ফেরার ম্যাচে সালাহর অ্যাসিস্ট ও একিটিকের জোড়া গোলে ব্রাইটনকে হারাল লিভারপুল Dec 14, 2025
img
হাদির ঘটনায় সিলেট সীমান্তে বিজিবির বাড়তি নজরদারি Dec 14, 2025
img
ফিরছেন তারেক রহমান, বাস ভবনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি Dec 14, 2025
img
নিজের খুশি-স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছেন অক্ষয় খন্না Dec 14, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ Dec 14, 2025
img
আজ ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস Dec 14, 2025
img
ওসমান হাদির ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বিজিবির Dec 14, 2025
img
মুস্তাফিজের খরুচে বোলিং, রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় পেল দুবাই ক্যাপিটালস Dec 14, 2025