নয়াদিল্লিতে লিওনেল মেসির ‘গোট’ ভারত সফরের শেষ অধ্যায়ে সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। কিন্তু সোমবার সকালে হঠাৎ করেই জানা যায়, সেই বৈঠক আর হচ্ছে না। প্রশ্ন উঠেছে—সব প্রস্তুতি থাকার পরও শেষ মুহূর্তে কেন বাতিল হলো মেসি–মোদি বৈঠক?
সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, সোমবার মেসির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ২১ মিনিটের একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের প্রোটোকল আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তবে রোববারই সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। কারণ, নরেন্দ্র মোদি চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ওমান, ইথিওপিয়া ও জর্ডানের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। এই সফরে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।
বৈঠক বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় সোমবার সকালে—ঠিক সেই সময়, যখন মেসির মুম্বাই থেকে দিল্লিগামী ফ্লাইট ঘন কুয়াশা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছাচ্ছিল। ফলে সফরের সূচিতে আর কোনো পরিবর্তনের সুযোগও ছিল না।
তবে বৈঠক বাতিল হলেও দিল্লিতে মেসির কর্মসূচি ছিল ঠাসা। প্রধানমন্ত্রীকে না পেলেও তিনি দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের সঙ্গে। এরপর মেসি যান অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে, যেখানে তাঁকে দেওয়া হবে বর্ণাঢ্য সংগীতানুষ্ঠানের সংবর্ধনা। সেখানে তিনি একটি সেলিব্রিটি ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করবেন, শিশুদের সঙ্গে ফুটবল ক্লিনিকে অংশ নেবেন এবং বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন। এই আয়োজনে বিরাট কোহলির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দিনের শেষ ভাগে পুরানা কিল্লায় একটি অ্যাডিডাস আয়োজনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ তারকাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মেসি। সন্ধ্যা ৮টায় দিল্লি ছাড়েন আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
উল্লেখ্য, মেসির ভারত সফরের শুরুটা ছিল বেশ নাটকীয়। কলকাতায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলার কারণে তাঁর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করতে হয়। তবে হায়দরাবাদ ও মুম্বাইয়ে উষ্ণ সংবর্ধনা ও সফল আয়োজন সফরের আবহ বদলে দেয়। দিল্লিতে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ না হলেও, মেসির উপস্থিতি ঘিরে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের উন্মাদনায় শেষ হলো তাঁর বহু আলোচিত ভারত অধ্যায়।
আইকে/টিএ