আবুধাবিতে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বসবে আইপিএলের মিনি অকশন। অংশ নিচ্ছেন মোস্তাফিজসহ বাংলাদেশের সাত ক্রিকেটার। থাকবেন ক্রিকেট বিশ্বের আরও ৩৪৩ জন। যদিও, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর স্লট ফাঁকা মাত্র ৭৭টি। সবচেয়ে বেশি অর্থ আছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পকেটে, ৬৪ কোটি রূপি। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে নিলামের আনুষ্ঠানিকতা।
আইপিএল, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট দুনিয়ার দানব। যাদের ধারে কাছে নেই কেউই। বিগ ব্যাশ, এসএ টি২০, পিএসএল, আইএল টি-টোয়েন্টি কিংবা বিপিএল, সবার লড়াই দ্বিতীয় পজিশনটার জন্য। প্রথম জায়গাটার একক কর্তৃত্ব আইপিএলের। সেটা শুধু ক্রিকেটের মান কিংবা গ্ল্যামারে নয়। অর্থের দিক দিয়ে এটাই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রীড়া ইভেন্ট। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা।
গত বছর আইপিএলের মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সৌদি আরবের জেদ্দায়। মরুর বুকে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে সৌদি সরকারের সঙ্গে ভাতৃত্বের নিদর্শন স্বরূপ দেশ ছেড়ে কয়েক শ মাইল দূরে এ আয়োজনে সবাইকে চমকে দিয়েছিলো বিসিসিআই। এবার মিনি নিলামও হবে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক শহর আবুধাবিতে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানীতে বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটা নাগাদ শুরু হবে নিলামের আনুষ্ঠানিকতা।
এবারের নিলামে বিভিন্ন দেশ থেকে মোট সাড়ে তিনশ ক্রিকেটার অংশ নেবেন নিজেদের ভাগ্য যাচাইয়ে। যেখানে থাকবেন বাংলাদেশেরও সাতজন। ২ কোটি রূপি ভিত্তিমূল্যে সবার ওপরে থাকবেন মোস্তাফিজুর রহমান। আর ৭৫ লাখ ভিত্তিমূল্যে থাকবেন রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব, নাহিদ রানা এবং শরিফুল ইসলাম। আর সর্বনিম্ন ৩০ লাখের ক্যাটাগরিতে আছেন বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসান। সাকিব আল হাসান নিজের নাম দিলেও শেষ মুহূর্তে তাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে চূড়ান্ত তালিকা।
সবচেয়ে বেশি অর্থ নিয়ে নিলামে অংশ নেবে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ছেড়ে দেয়ায় তাদের পকেটে আছে সর্বোচ্চ ৬৪ কোটি রূপি। তারা নিতে পারবে সর্বোচ্চ ১৩ জন ক্রিকেটার। চেন্নাই এর পকেটে টাকা ৪৩ কোটি, ক্রিকেটার নিতে পারবে ৯ জন। সবচেয়ে কম টাকা আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পার্সে। ১৬ কোটি রূপিতে তাদের নিতে হবে ৮ জনকে। ৩৫০ ক্রিকেটারের মধ্যে বিদেশি আছেন ১১০ জন। তবে এর মধ্যে দল পাবেন মাত্র ৩১ জন ক্রিকেটার।
এই প্রতিযোগিতার বাজারে সেই ক্রিকেটারদের নিয়েই বাজি ধরবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যাদের হাতে থাকবে পুরো টুর্নামেন্ট খেলার এনওসি। এবারও সেখানেই পিছিয়ে বাংলাদেশের সাতজন। একমাত্র রকিবুল হাসান ছাড়া কারো কাছেই নেই পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে বিসিবির অনাপত্তিপত্র। মোস্তাফিজসহ বাকি ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য এনওসি দিয়েছে বিসিবি।
মূলত, এপ্রিল-মে মাসে নিউজিল্যান্ড সিরিজের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য জাতীয় দলের কাউকেই পুরো আইপিএল খেলার অনুমতি দেয়নি বোর্ড। পুরানো ইতিহাস মনে রাখলে, এ ধরণের ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এবারও সেরকম কিছু হলে কপাল পুড়বে মোস্তাফিজসহ বাকিদের।
এসএস/টিকে