যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত হুমকি ও চাপ বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার বাসিন্দারা। কারাকাসের অভ্যন্তরের পাশাপাশি ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববাজারেও।
গত কয়েকমাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক নেয়া পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা সব তেলবাহী ট্যাংকার অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে তেলের দাম, যা উদ্বেগ সৃষ্টি করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও।
আন্তর্জাতিক পরিসরের মতো ভেনেজুয়েলার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত হুমকি ও চাপ বৃদ্ধির কারণে দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যেও বাড়ছে উদ্বেগ। প্রভাব পড়ছে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ধরনের কার্যক্রমে।
এদিকে, ক্যারিবীয় অঞ্চলে চলমান উত্তেজনা নিয়ে সংযম প্রদর্শন ও অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক।
গুতেরেস বর্তমান পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানান তিনি।
ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে মিত্র দেশ রাশিয়াও। তা না হলে পরিস্থিতি আরও ‘ভয়াবহ দিকে’ মোড় নিতে পারে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ বাড়িয়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ক্যারিবীয় অঞ্চলে সংঘাত রোধে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে উল্লেখ করে সিলভা বলেন, ওয়াশিংটন ডিসি ও কারাকাসের মধ্যে সংলাপ সহজ করতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে ব্রাজিল। তবে এ বিষয়ে দু’দেশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কেএন/টিকে