ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) উগান্ডায় আফ্রিকার প্রথম নারী নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে। উগান্ডার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অর্থায়ন করবে। ওআইসির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব আফতাব আহমদ খোখর এই তথ্য জানিয়েছেন।
আহমদ গত সপ্তাহের শেষের দিকে উগান্ডার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে নারী নার্সিং স্কুলের জন্য একটি নতুন শ্রেণিকক্ষ ভবন হস্তান্তরের পর বক্তব্য দেন। তখন তিনি বলেন, ওআইসির অর্থায়নে পরিচালিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো উগান্ডার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিও একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে মুসলিম দেশগুলো এক সঙ্গে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করে সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এই ক্যাম্পাস ওআইসির সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। মুসলমানদের উচিত শিক্ষাখাতে অবদান রাখা। কেননা শিক্ষা যে কোনো সমাজের প্রাণশক্তি। আর বর্তমান যুগে শিক্ষিত নারীরাই আমাদের ঘরের স্তম্ভ।
পরিকল্পিত নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস শুধু উগান্ডাতেই নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও শিক্ষা ও চিকিত্সা সেবা প্রদানে ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রশিক্ষিত নার্সের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে তিনি ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের কাছে প্রকল্পটির অর্থায়নের আহ্বান জানাবেন, যেন এটিকে ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ইন উগান্ডার (IUIU) রেক্টর অধ্যাপক ইসমাইল সিম্বওয়া গিয়াগেন্ডা বলেন, বর্তমানে তারা অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানবসম্পদ বৃদ্ধির কাজ করছেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ইতোমধ্যে ৮ হাজার থেকে বেড়ে ১৪ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আরো বেশি শিক্ষক নিযুক্ত হওয়ায় ভবিষ্যতে নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়বে বলে তারা আশাবাদী।
কেএন/টিকে