মঙ্গলবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ আহমেদের মৃত্যুর খবর। বিষয়টি ঘিরে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয় উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো তথ্য পাননি।
গত বছরের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই রিয়াজ আত্মগোপনে রয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউই নিশ্চিত নন।
কেউ বলছেন তিনি ভারতে রয়েছেন, আবার কারো মতে তিনি দেশেই আছেন, তবে লোকচক্ষুর আড়ালে। এদিকে অভিনেতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় রিয়াজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই অভিনেতা জীবিত আছেন এবং সুস্থ রয়েছেন। রিয়াজের স্ত্রী তিনা বলেন, ‘এ ধরনের খবর একেবারেই সত্য নয়। যেখানেই আছে, ভালো আছে।’
শেখ হাসিনার পতনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন রিয়াজ।
বিভিন্ন সময় দলীয় প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে তাঁকে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে দেওয়া তাঁর বক্তব্যও একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
নব্বইয়ের দশকের শেষভাগ থেকে টানা প্রায় দুই দশক ধরে ঢালিউডে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন রিয়াজ। ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর উপহার দিয়েছেন বহু সুপারহিট ছবি।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘অপারেশন সুন্দরবন’।
এরপর আর নতুন কোনো কাজে তাঁকে দেখা যায়নি।
বর্তমানে রিয়াজের মৃত্যুর খবরটি নিছক গুজব বলেই ধারণা করা হচ্ছে, যদিও তাঁর অবস্থান ঘিরে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।
আরপি/এসএন