বয়স ষাট ছুঁইছুঁই, অথচ পর্দায় তার উপস্থিতি এখনো কোটি পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তোলে। তিনি বলিউড সাম্রাজ্যের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। পেলব মসৃণ ত্বক আর ভুবনভোলানো হাসিতে তিনি আজও অমলিন। দএই চিরযৌবনা রূপ ধরে রাখতে কখনোই কৃত্রিম কোনো পদ্ধতির সাহায্য নেননি তিনি। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে এই ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য’ নিয়েই শুনতে হয়েছিল নানা কটু কথা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের এক যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন মাধুরী। তিনি জানান, নব্বই দশকের শুরুতে যখন তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই করছেন, তখন অনেকেই তার শারীরিক গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
মাধুরীর কথায়, ‘আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন, তখন অনেকেই বলতেন আমার নাক আর ঠোঁটের গড়ন ঠিক নেই। অনেকেই আমাকে সার্জারি করে নাক ও ঠোঁট ঠিক করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এসব শুনে খুব মন খারাপ হতো, হতাশ হয়ে পড়তাম।’
সেই কঠিন সময়ে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মাধুরীর মা। ‘তেজাব’ ছবি মুক্তির আগে যখন তিনি চরম দুশ্চিন্তায়, তখন তার মা তাকে এক অমোঘ মন্ত্র শিখিয়ে দেন। মাধুরী বলেন, ‘মা আমাকে বলেছিলেন একটা ছবি হিট হয়ে গেলে দেখবে আর কেউ তোমার খুঁত নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না। কথাটি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছিল।’
তেজাব সিনেমার আকাশচুম্বী সাফল্যের পর রাতারাতি পাল্টে যায় দৃশ্যপট। যারা একসময় খুঁত ধরতেন, তারাই মাধুরীর সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। বর্তমানে বলিউডে প্লাস্টিক সার্জারি বা কসমেটিক ট্রিটমেন্টের যে হিড়িক পড়েছে, তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে মাধুরী বিশ্বাস করেন স্বাভাবিক সৌন্দর্যে। তিনি মনে করেন, ঈশ্বর মানুষকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, সেভাবেই নিজেকে গ্রহণ করা উচিত।
নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের উদ্দেশ্যে এই কিংবদন্তি তারকা বলেন, ‘বাহ্যিক রূপ নিয়ে পড়ে না থেকে কাজে মন দাও। নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করো, সাফল্যই সব সমালোচনার যোগ্য জবাব হয়ে আসবে।’
কেএন/টিকে