তিন দশকের ক্যারিয়ারে সুনীল শেঠি শুধু বহুমুখী শিল্পী হিসেবেই নয় বরং একজন দৃঢ় ও মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বলিউড বাদশা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ তারকাই বড় অঙ্কের বিনিময়ে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন করে থাকেন সেখানে সুনীল শেঠি সবসময় এসব জিনিসের প্রচার থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান কেন তিনি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এমন কোনো কাজ করতে চাই না যা ছেলেমেয়ে আহান ও আথিয়ার জন্য নেতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে বিজ্ঞাপনটি করার জন্য ৪০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু আমি তা ফিরিয়ে দেই। যদিও আমার তখন টাকার দরকার ছিল কিন্তু জীবনে আমার কিছু নীতি আছে যেগুলো আমি মেনে চলার চেষ্টা করি।’
সাক্ষাৎকারে সুনীল শেঠি তার বাবা বিরাপ্পা শেঠির শারীরিক অসুস্থতা কীভাবে তার অভিনয়জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে তার বাবা অসুস্থ ছিলেন এবং তিনি তার দেখাশোনায় ব্যস্ত ছিলেন। তখন তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং কাজে ফেরার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। ২০১৭ সালে তার বাবার মৃত্যু হয়।
প্রায় ছয় থেকে সাত বছর বিরতির পর আবার অভিনয়ে ফিরে আসা তার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সুনীল বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর দিন সকালে আমাকে একটি ‘হেলথ শো’র প্রস্তাব দেয়া হয়। আমি সেটিকে এক ধরনের সুযোগ হিসেবে দেখি। এরপর আমি অভিনয়ে ফিরি এবং কয়েকটি দক্ষিণী ছবিতে কাজ করি।
এত বছর বিরতির পর আমি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি মনে হচ্ছিল ইন্ড্রাস্টি বদলে গেছে, নতুন মানুষ এসেছে তাই অস্বস্তিও কাজ করছিল।’
মহামারির পর নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘কোভিডের পর আমি নিজেকে ভিন্নভাবে আবিষ্কার করি। নিজেকে তৈরি করি, ট্রেনিং নেই, পড়াশোনা করি, নানা কিছু শিখি। এরপর এমন আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় যে বাইরের কারও স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়নি।’
নব্বই দশকের অ্যাকশন হিরো সুনীল শেঠি তার প্রানবন্ত অভিনয় দিয়ে বলিউডে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। আসন্ন ছবি ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ এ অক্ষয় কুমার, সঞ্জয় দত্তের সাথে দেখা যাবে তাকে।
আরআই/টিএ