যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার কয়েক সপ্তাহের সীমান্ত সংঘর্ষে ডজনখানেক মানুষের প্রাণহানির পর আগের দিন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এত দ্রুত এবং খুব ন্যায্য এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে তাদের অসাধারণ প্রজ্ঞার জন্য আমি উভয় মহান নেতাকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’ তিনি দাবি করেছেন, আগের একটি যুদ্ধবিরতির কৃতিত্বও তার—যা চলতি মাসের শুরুর দিকে সীমান্ত সংঘাত পুনরায় শুরু হলে ভেঙে যায়।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে চূড়ান্ত ফলাফলকে বলেছেন ‘দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক, যেমনটি এই সমস্ত পরিস্থিতি হওয়া উচিত!’
তিনি আরো বলেন, চীন ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে একযোগে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকা ওয়াশিংটন ‘সহায়তা করতে পেরে গর্বিত’।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে, ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী সংঘাত সমাধানে তার স্বঘোষিত ভূমিকাকে প্রশংসা করে বলেন, ‘সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রই এখন বাস্তব জাতিসংঘ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘকে অবশ্যই বিশ্বশান্তির জন্য সক্রিয় ও জড়িত হতে শুরু করতে হবে!’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারকো রুবিও শনিবার থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে উভয় পক্ষকে ‘এই অঙ্গীকার অবিলম্বে মেনে চলার’ আহ্বান জানান।
সরকারি হিসাবে, তিন সপ্তাহের লড়াইয়ে অন্তত ৪৭ জন নিহত এবং এক মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে; সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের প্রায় সব প্রদেশে।
শনিবার তাদের সমঝোতা ঘোষণা করে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি, সেনা চলাচল স্থগিত এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিকদের যত দ্রুত সম্ভব ঘরে ফিরতে দেওয়ার অঙ্গীকার করে।
যুদ্ধবিরতির পর, চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই রবিবার শুরু হওয়া দুই দিনের আলোচনার জন্য কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আতিথ্য দিচ্ছেন।
বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী, ওয়াং তার কম্বোডীয় সমকক্ষ প্রক সোখোনকে বলেন, যুদ্ধবিরতি ‘শান্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে’।
ওয়াং আরো বলেন, ‘উভয় পক্ষেরই ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়ে একটি সার্বিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রচার করা উচিত’ এবং ‘পারস্পরিক আস্থা পুনর্গঠন করা’ দরকার।
পিএ/টিএ