মঙ্গলবার ‘স্যালুটিং আওয়ার কালচারাল হিরো’ কর্মসূচি ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদিনব্যাপী অনলাইনে ‘স্যালুটিং আওয়ার কালচারাল হিরো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগে চলমান অবরোধ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে এ কর্মসূচির কথা জানান সংগঠনটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।

তিনি বলেন, “আগামীকাল রাত ১২টা থেকে আপনাদের বিনীত অনুরোধ আপনারা নিজেরা, আপনাদের সন্তানরা এবং যতগুলো মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, সবাই আমাদের এই কালচারাল আইকনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ‘স্যালুটিং আওয়ার কালচারাল হিরো’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি ভিডিওগ্রাফি, আবৃত্তি ও সব ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করবেন। আমরা চাই, আগামীকাল পুরো সোশ্যাল মিডিয়া, মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এবং জনতার কাছে একটাই নাম থাকবে, শহীদ হাদি।”

আব্দুল্লাহ আল জাবের আরও বলেন, “এই অনলাইন প্রচারণার পর ইনশাল্লাহ পরের দিন আমরা আবার ফিরে আসব। আমরা এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বসিনি। একজন চলে গেলে আরেকজন দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু ইনসাফের লড়াই থামানো যাবে না। আমি করজোরে অনুরোধ করি ভয় পাবেন না। একবার ভয় ঢুকে গেলে আজাদি ধরা দেবে না।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের কালচারকে যারা নিজেদের বাপের সম্পত্তি মনে করে, তারা এটাকে কালচারাল আইকন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ভয় পায়।কারণ তাদের কালচারের সঙ্গে দিল্লির তাবেদারি জড়িত। সেই তাবেদারি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশের যে নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণ, তা শহীদ হাদির হাত দিয়েই শুরু হয়েছে।”

আগামীকালের কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ উসমান হাদির বক্তব্য, কর্ম ও চিন্তা নিয়ে বিশ্লেষণমূলক লেখা, ভিডিও, ডকুমেন্টারি প্রচারের আহ্বান জানান তিনি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “এত বড় একটি কর্মসূচি চলছে, অথচ আশপাশে অস্ত্রধারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, ছবি দিয়েছি। তবুও তারা আবার ফিরে আসে। এর মানে প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত। তারা চায় আমরা হত্যার শিকার হই। কিন্তু শহীদের রক্ত দিয়ে কখনো ইনসাফের লড়াই থামানো যায় না।”

জাবের বলেন, “শহীদ হাদি আমাদের এই লড়াইয়ের পর্দা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। ইনসাফের এই লড়াই আজীবনের, আমৃত্যু চলবে, ইনশাল্লাহ।”

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৪ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু Dec 30, 2025
img
মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন ব্যারিস্টার মওদুদের স্ত্রী হাসনা Dec 30, 2025
img
আমি কোনো অন্যায় করতে পারবো না, জুনায়েদ সাকিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা Dec 30, 2025
img
অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার ৫৯১ জন Dec 30, 2025
img
‘দাদা গুলি করে দেই?’ বলে চালানো গুলিতে প্রাণ গেল আনসার সদস্যের Dec 30, 2025
img
নড়াইলের দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন ২৪ প্রার্থী, স্বতন্ত্র ১১ জন Dec 30, 2025
img
দিনাজপুরের ৬টি আসনে মনোনয়ন দাখিল করলেন ৪৮ প্রার্থী Dec 30, 2025
img
প্রকৃতি ও মানুষের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠানই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন Dec 30, 2025
img
হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে মাদারীপুরে মহাসড়কে বিক্ষোভ Dec 30, 2025
img
জনগণের সেবা করাই এখন প্রধান কাজ, মনোনয়ন জমা দেয়ার পর বাবর Dec 30, 2025
img
এবার এনসিপির আরেক নেতার পদত্যাগ Dec 30, 2025
img
বিএনপি প্রার্থী হারুনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ জামায়াত প্রার্থীর Dec 30, 2025
img
রোনালদোর সঙ্গে নিজের তুলনা করাটা ভালোভাবে দেখেন না ইয়ামাল Dec 30, 2025
img
সহধর্মিণীকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন ফেসবুক পোস্ট Dec 30, 2025
img
স্বাস্থ্য সচিব ও মহাপরিচালককে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগ Dec 30, 2025
img
ময়মনসিংহ-৭ আসনে এমপি হতে চান ভিক্ষুক মুনসুর Dec 30, 2025
img
কপ সম্মেলনে দেশের পক্ষে উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের অংশগ্রহণ জরুরি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Dec 30, 2025
img
বগুড়া-২ আসনে মান্নার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল Dec 30, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১১ জনের মনোনয়ন দাখিল Dec 30, 2025
img
কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন স্মরণে বিশেষ আয়োজন Dec 30, 2025