বৈশ্বিক পোশাকখাতের পাওয়ার হাউস বাংলাদেশ : ডব্লিউইএফ

বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প বৈশ্বিক পোশাকখাতের পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থা (ডব্লিউইএফ)।

সম্প্রতি ডব্লিউইএফ ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য থেকে টেক্সটাইল পাওয়ার হাউসে অতিক্রম করণ আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য শিক্ষার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের পাওয়ার হাউসে পরিণত হওয়ায় বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে এবং মোট দেশজ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারমুখী নীতি, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ এবং কৌশলগত বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ও শিল্প প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মূল চাবিকাঠি ছিল।

ডব্লিউইএফ’র ব্লগে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) ম্যানুফ্যাকচারিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড সাপ্লায়ার ফাইন্যান্সের গ্লোবাল ম্যানেজার ফেমি আকিনরেবিয়ো বলেছেন, যেহুতু বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় এবং ভ্যালু চেইনে আরোহণ করতে চায়, সে জন্য আফ্রিকা পোশাক শিল্পের
পরবর্তী সীমানা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যা একই ধরনের আন্তর্জাতিক সমর্থন থেকে উপকৃত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সত্তরের দশকের শুরুতে ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। সে সময় দেশটি অত্যন্ত দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। তখন দেশেটির অর্থনীতির মুলভিত্তি ছিল পাট, যা জনগণকে খাদ্য যোগাতেও অক্ষম ছিল। এরপর ১৯৭৪ সালে দেশটি এমন একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে যাকে ‘পরমাণু হামলার পরের সকালের মতো’ বর্ণনা করেছিলেন ওই সময় দেশটিতে সফররত বিশ্বব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ। এর কিছু বছর পর বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি সরকারী প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়েছিল। যা দেশটির কৃষি অর্থনীতিকে টেক্সটাইল এবং পোশাক উৎপাদনে পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত করেছে। এ শিল্পকে এমন একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রত্যাবর্তন হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা আজ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Nov 14, 2025
img
নিজের বিয়ে নিয়ে অভিনেত্রী পারসা ইভানার মন্তব্য Nov 14, 2025
img
দুবাইয়ের আকাশে যাত্রী নিয়ে উড়বে ট্যাক্সি Nov 14, 2025
img
নীলাঞ্জনা না থাকলে এত দিন ছবি বানাতে পারতাম না : গৌতম ঘোষ Nov 14, 2025
img
বিএনপি জনগণের দল, কখনও মাঠ ছাড়ে না: বাবুল Nov 14, 2025
img
জুয়ায় জড়িত তুরস্কে ১০২ ফুটবলার নিষিদ্ধ Nov 14, 2025
img
ভিকি-কৃতির খুনসুটিতে ভাইরাল ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’ এপিসোড Nov 14, 2025
img
মানিকগঞ্জে থেমে থাকা বাসে আগুন, গাড়িতে থাকা ঘুমন্ত চালক দগ্ধ Nov 14, 2025
img
চিরঞ্জীবীর নতুন ছবিতে তামান্নার হাই-ভোল্টেজ নাচের প্রস্তুতি Nov 14, 2025
img
‘আমরা কোনও দোষ করিনি’, ধর্মান্তকরণের ‘ভুয়ো’ অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন জেমাইমা Nov 14, 2025
img
টিকটকার সুজান খানের পার্টিতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১ Nov 14, 2025
img
হাংকি পাংকি বুঝি না, ধানের শীষের বিজয় বুঝি: কামরুল হুদা Nov 14, 2025
img
বরগুনায় স্বর্ণা পরিবহন নামের যাত্রীবাহী বাসে আগুন Nov 14, 2025
img
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ রিমেকের জন্য করন জোহরের কাস্টে আলিয়া, রণবীর, আনন্যা Nov 14, 2025
img
যুদ্ধের সময় সীমান্ত দিয়ে অনেকে পালিয়েছেন কিন্তু জিয়াউর রহমান যান নাই: ডা. জাহিদ Nov 14, 2025
img
নতুন মুখে সাজিদ আলীর ‘হীর রাঞ্জা’ Nov 14, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও রেললাইনে আগুন Nov 14, 2025
img
বরিশালে থেমে থাকা ট্রাকে দুর্বৃত্তদের আগুন Nov 14, 2025
img
একইদিনে গণভোট-জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি ৮ দলের Nov 14, 2025
img
বিমানবন্দর এলাকার ২ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ Nov 14, 2025