পণ্য ও সেবার দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ: আইএমএফ

পণ্য ও সেবার দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, এই মুহূর্তে টাকার প্রবাহে ভারসাম্য রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সংকোচনশীল হওয়ার বিকল্প নেই।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে জাপানের টোকিওতে রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফিংকালে এ অভিমত প্রকাশ করা হয় আইএমএফের পক্ষ থেকে।

সংস্থাটি জানায়, মন্দা থেকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এশিয়া। চড়া মূল্যস্ফীতি থেকে বেরিয়ে আসছে এই অঞ্চল। তাই অনেক দেশে কমবে সুদের হার। তবে, দুশ্চিন্তা আছে রফতানি নিয়ে।

আইএমএফ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর পর থেকেই এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি কমছে। তবে এই অঞ্চলে ঋণের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, এশিয়ার অর্থনীতির ওপর দিয়ে অনেক বিপদ গেছে। এসব সামাল দিতে অনেক দেশকে ঋণ নিতে হয়েছে। আমি যদি বিশ্বের সার্বিক ঋণ হিসাব করি, তাহলে এর ২৮ থেকে ৩৫ ভাগই এশিয়ার। এমনকি বৈশ্বিক মন্দার পর চীন ও জাপানের সরকারকে বড় পরিসরে ধার করতে হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধির গতি কম।

এরপর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আইএমএফ জানায়, দেশটির স্থানীয় অর্থনীতিতে একাধিক ধাক্কা লেগেছে। জটিলতা আছে পণ্য সরবরাহে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে কিছু বদল আনতে হবে আর্থিক নীতিতে।

আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী পরিচালক থমাস হেলব্লিং বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি একটা অস্থির সময় পার করেছে। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে টানা বন্যার ধাক্কা। এর ফলে পণ্য সরবরাহে বাধা পড়েছে। বাংলাদেশে পণ্য ও সেবার দাম ২০২২ সাল থেকে বেশি। তাই আপাতত সংকোচনমূলক মূদ্রানীতির বিকল্প নেই। সঙ্গে বিদেশ থেকে অর্থ লেনদেনেও ভারসাম্যহীনতা আছে। চাইলে বাংলাদেশ যেকোনো উৎস থেকে বাজেট সহায়তা নিতে পারে।

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। পরের বছর তা আরও কমে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অপু দিদি, তুমি দেখতে তামান্না ভাটিয়ার মতো: মিষ্টি জান্নাত Sep 12, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের জয়ে শশী থারুরের উদ্বেগ, কড়া জবাব দিলেন মেঘমল্লার বসু Sep 12, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের সাফল্যে কচ্ছপ ও খরগোশের গল্প শোনালেন জয় Sep 12, 2025
img
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত Sep 12, 2025
img
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি অনিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ Sep 12, 2025
img
ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি : রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Sep 12, 2025
img
গাজীপুরে বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের Sep 12, 2025
img
এই জায়গাটি আমাদের, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হবে না: নেতানিয়াহু Sep 12, 2025
img
জাকসু নির্বাচনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বললেও ফলাফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা বাগছাসের Sep 12, 2025
img
গভীর রাতে জাবির প্রধান ফটকে জামায়াতের এমপি প্রার্থীর অবস্থান Sep 12, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Sep 12, 2025
বড় তারকার চাপ, ভেতরের ভয় সামান্থার জীবনের অজানা অধ্যায় Sep 12, 2025
জাকসু বয়কটের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Sep 12, 2025
অবরোধে অচল ২১ জেলার সড়ক যোগাযোগ Sep 12, 2025
img
আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রাকসু নির্বাচনের ৫ প্রার্থী Sep 12, 2025
সংবিধান সংশোধনের জন্য জনগণের সম্মতি দরকার-জোনায়েদ সাকি Sep 12, 2025
img
'নির্বাচন ত্রুটিযুক্ত, তবে ভোটারদের সম্মানে বর্জন করবে না ঐক্য ফোরাম' Sep 12, 2025
img
জাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশ শুক্রবার দুপুরে Sep 12, 2025
img
জাকসুর ভোট গণনা চলছে, সরাসরি দেখানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিনে Sep 12, 2025
img
জাকসু নির্বাচন নিয়ে শিবির সেক্রেটারির কড়া বার্তা Sep 12, 2025