দাম বাড়ায় ইফতারে ফল রাখা নিয়ে জনমনে শঙ্কা

রোজা শুরুর আগ থেকেই ফলের বাজার চড়া। রোজা শুরুর আগের দিন বেড়েছে আরো খানিকটা। ইফতারের ফলমূল রাখতে একদিনের ব্যবধানে ক্রেতাদের গুনতে হবে কেজিতে বাড়তি ২৫ থেকে ৫০ টাকা।

রাজধানীর বাজারগুলোয় এক দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন ফলের দাম বেড়ে যাওয়ার ‘দায়’ পাইকারদের ওপর দিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জাতভেদে প্রতিকেজি আপেল ৩২০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা ৩০০ টাকা, কমলা ২৮০, আঙুর কালো ৪২০ ও সবুজটা গড়ে ৩৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল।

একদিন আগেও আপেল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাল্টা ২৮০, কমলা ২৫০, আঙুর ৪০০ টাকা ও সবুজটা গড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া গেছে। ক্রেতাদের মনে অসন্তোষের প্রশ্ন, “একদিনের মধ্যে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দাম বাড়ে কীভাবে?

বিক্রেতাদের দাবি, দাম তো তারা বাড়ান না; যে দামে কেনা, সে হিসাবেই বিক্রি করেন। এক বিক্রেতা জানান, ‘আড়তদার আমাদের যে রেট ধরে দেয়, আমরা সেই হিসাবে বিক্রি করি। পর্যাপ্ত মাল পাওয়া যাচ্ছে না; তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।’
সাধারণ মানুষের দাবি সরকার এখনই জরুরিভিত্তিতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ফলমূল দিয়ে ইফতার করা সম্ভব হবে না। এদিকে এক ফল বলেন, “বাদামতলীর পাইকারি বাজারে ফল কিনতে গিয়ে আমরা বোকা হয়ে যাই। এতে দাম কীভাবে হয়।

এদিকে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, এলসি কমে যাওয়ার কারণে বাজারে ফলের সরবরাহে কিছুটা সংকট আছে। তাছাড়া প্রথম রোজার আগে বিভিন্ন কারণে ফলের দাম একটু বেড়ে যায়, তাই হয়েছে।
ভরা মৌসুম না হলেও বাজারে তরমুজের বেশ সরবরাহ রয়েছে; প্রায় প্রতিটি দোকানেই সাজানো। কিন্তু দাম আগের দিনের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। প্রতিকেজি তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। তরমুজের আকার ভেদে দাম কম-বেশি হয়। একেবারে ছোটগুলোর কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। আবার ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে যে পেঁপে মিলত, সেটায় লাগছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

রোজা শুরুর তিন আগেও বাজার স্থিতিশীল থাকার কথা বলেছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতারা; সেদিন সংকট ছিল শুধু সয়াবিন তেল নিয়ে, যার সূত্রপাত আরও মাস খানেক আগেই। এর মধ্যে পরের দিন বেড়ে যায় লেবু, শসা ও বেগুনের দাম। কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বাড়ে গরুর মাংস। এদিন মুরগি ও কিছু মাছের দামও কেজিতে বেড়ে যায় ২০ থেকে ৩০ টাকা।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আজ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেবেন রাজসাক্ষী মামুন Sep 02, 2025
img
পুতিন-শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠক ‘লজ্জাজনক’: যুক্তরাষ্ট্র Sep 02, 2025
img
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রশ্নে রিটের রায় আজ Sep 02, 2025
img
ভাষা আন্দোলন স্মরণিকায় শিক্ষার্থীদের লেখা পাঠানোর আহ্বান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের Sep 02, 2025
img
৪ মামলার পলাতক আসামি ইউপি চেয়ারম্যান টিপু বরখাস্ত Sep 02, 2025
"আমি যা বলি, তা নিয়েই বিতর্ক!" স্পষ্ট স্বরায় রাজনীতি নিয়ে দ্বিধা Sep 02, 2025
img
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে ২ উপদেষ্টা Sep 02, 2025
img
মাঝপথে ১৯ বগি রেখেই চলে গেল পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন Sep 02, 2025
img
গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা ফ্রান্সের Sep 02, 2025
img
‘আমার জন্য ওই রকম হার্ড হিটিং করাটা একটু কঠিন’: তামিম Sep 02, 2025
img
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া Sep 02, 2025
img
ভোমরা বন্দরে ৯৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় Sep 02, 2025
img
সেপ্টেম্বরের জন্য এলপি গ্যাসের দাম জানা যাবে আজ Sep 02, 2025
img
একই পরিকল্পনা দুই ম্যাচে, টস জিতে বোলিং করালেন লিটন Sep 02, 2025
img
সেবা পেতে অতিরিক্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সতর্ক করলো ডিএনসিসি Sep 02, 2025
img

জুলাই গণহত্যা

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 02, 2025
img
বর্ষার আকাশের মতো রাজনীতির আকাশেও কালো মেঘ ধরেছে : শাহজাহান Sep 02, 2025
img
দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, আজ থেকেই কার্যকর Sep 02, 2025
img
টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানালেন স্টার্ক Sep 02, 2025
img
দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তারা কাকে দেবে তা বেছে নেবে জনগণ: ডা. জাহিদ Sep 02, 2025