আসবাবপত্র শিল্পের রফতানি সম্ভাবনা: বন্ড সুবিধা পেলে আয় বাড়বে ১২৫ গুণ

নতুন বছরে বর্ষপণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনাময় যাত্রা শুরু করেছে দেশের আসবাবপত্র শিল্প। ৬৫০ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখনও সীমিত হলেও, রফতানি আয়ের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ শিল্পের অন্যতম বড় বাধা হলো প্রয়োজনীয় প্রায় ৭ হাজার ধরনের কাঁচামাল আমদানির ওপর ১০ থেকে ১২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের বোঝা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মতে, যদি এ খাতে বন্ড সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে আগামী ছয় বছরে রফতানি আয় ১২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের রয়েছে দক্ষ শ্রমশক্তি ও ভালো সম্ভাবনা, তবে নীতিগত কিছু সমস্যার কারণে আমরা এখনও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারছি না। বন্ড সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাংক গ্যারান্টি ও ব্যবস্থাপনার দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।”

বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম এইচ রহমান মনে করেন, “যদি ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে বন্ড সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে এর অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত বিনিয়োগ ও ব্যয়ের চাপ না থাকায় রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে।”

ইপিবির হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে এই খাতের রফতানি আয় মাত্র ৪ কোটি ডলার। তবে বন্ড সুবিধা চালু হলে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ১২৫ গুণ বেড়ে ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, বাজার বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে আসবাবপত্রসহ সম্ভাবনাময় সব রফতানি খাতে বন্ড সুবিধা দেওয়ার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এফপি/ এস এন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্বাধীনতার পর দেশে আওয়ামী লীগ বাকশাল ও স্বৈরশাসন চালু করেছিল: মঈন খান Nov 09, 2025
img
আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য মাইলফলক হতে যাচ্ছে : সিইসি Nov 09, 2025
img
তারেকের দলকে নিবন্ধন না দিয়ে ইসি তার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে : জাহেদ উর রহমান Nov 09, 2025
বিবিসি ‘প্রোপাগান্ডা মেশিন’: ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি Nov 09, 2025
img
বিএনপি নিজেরাই গোল খেয়ে এখন বেদনা নিয়ে ঘুরছে : আখতার Nov 09, 2025
img
মুসলিম শ্রমিকদের জন্য নিজ বাড়িতে নামাজের জায়গা করে দিলেন কোরিয়ান তরুণ Nov 09, 2025
img
ময়মনসিংহে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০ Nov 09, 2025
img

আমরণ অনশন

তারেক রহমানকে দেখতে যাচ্ছেন বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ Nov 09, 2025
img
দাদুর ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ বড়পর্দায় দেখে আবেগপ্রবণ হিয়া Nov 09, 2025
img
আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে: ইসি সচিব Nov 09, 2025
img
‘কর্মসূচির টাকা’ আনতে গিয়ে আটক ছাত্রলীগ নেতা Nov 09, 2025
img
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : পরিবারসহ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ১২ জনের সাক্ষ্য Nov 09, 2025
img
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে তারা আগে গণভোট চায় : মির্জা ফখরুল Nov 09, 2025
img
ভদ্ররা চুপ হয়ে যায়, অভদ্ররা ভাবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই: প্রভা Nov 09, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরের ৪১ শতাংশ বর্ধিত শুল্ক এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট Nov 09, 2025
img
সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই : জয়নুল আবেদীন Nov 09, 2025
img
ওজন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অভিনেত্রীর তোপের মুখে সাংবাদিক Nov 09, 2025
img
২১৭ কোটি টাকায় ভারত থেকে আসছে ৫০ টন চাল Nov 09, 2025
img
দুলকারের অভিনয়ে অভিভূত সামুথিরাকানি Nov 09, 2025
দেশের আইন এবং আদালতের উপর সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সমর্থন আছে Nov 09, 2025