ব্যাংক থেকে বাড়ছে সরকারের ঋণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল, শেষ এক মাসে তা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের ঋণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বিদেশি ঋণ পাওয়া কমে যাওয়া এবং সঞ্চয়পত্র থেকে প্রত্যাশিত ঋণ না পাওয়া।

তবে সরকারের এখন পর্যন্ত নেওয়া ঋণ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, সরকারের ঋণ ৯০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমিত রাখা হবে। এদিকে, হঠাৎ করেই ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়তে শুরু করেছে। অর্থবছরের শুরু থেকে গত ১০ মার্চ পর্যন্ত নিট ৩৮ হাজার ৫১০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার।

যেখানে গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক ঋণ ছিল ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল, শেষ এক মাস ১০ দিনে তা দ্বিগুণ হয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বাড়ার কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি, বিদেশি উৎস থেকে ঋণছাড় কমে যাওয়া এবং সঞ্চয়পত্র থেকে প্রত্যাশিত ঋণ না পাওয়া।

গত ১০ মার্চ সার্বিকভাবে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণস্থিতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। যা গত জুন শেষে ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণস্থিতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। গত জুন শেষে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থিতি কমে এক লাখ ৮ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা হয়েছে। যেখানে গত জুন শেষে ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিগত সরকারের সময়ে গোপনে ‘ওভার ড্রাফট’ খাতে নেওয়া ৪৮ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা সমন্বয় করে বর্তমানে ৬ হাজার ৭৪২ কোটি টাকায় নেমেছে।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকা অবস্থান ১৫তম Aug 25, 2025
img
দাবার গুটি উল্টে যাচ্ছে, মিত্র হারিয়ে কোণঠাসা নেতানিয়াহু! Aug 25, 2025
img
গাজায় প্রাণ হারাল আরও ৫১, মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ২৪ জনের Aug 25, 2025
img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সজীব গ্রেপ্তার Aug 25, 2025
img
ইসরায়েলের হামলায় গাজা সিটির এক হাজারেরও বেশি ভবন ধ্বংস Aug 25, 2025
img
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নিশাদ বহিষ্কার Aug 25, 2025
img
অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Aug 25, 2025
img
মাগুরায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল যুবকের Aug 25, 2025
img
প্রায় দুই দশক পর পর্দায় একসঙ্গে অক্ষয় ও সাইফ Aug 25, 2025
img
২১ বার অস্ত্রোপচার শেষে ঘরে ফিরলেন মাইলস্টোনের শিক্ষক নিশি আক্তার Aug 25, 2025
img
পিআর নিয়ে এত ভয় কেন, আসেন ডিবেট করি: তাহের Aug 25, 2025
img
জনগণের সমস্যার সমাধানই আমার অঙ্গীকার : আমিনুল হক Aug 25, 2025
img
“পুরো শরীর প্লাস্টিকের?” নেটিজেনদের কটাক্ষে মৌনী রায়ের পাল্টা জবাব Aug 25, 2025
img
কিশোরগঞ্জে ফজলুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ছবিতে জুতা নিক্ষেপ Aug 25, 2025
img
নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করবে Aug 25, 2025
img
রুমিন ফারহানার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Aug 25, 2025
img
ফজলুর রহমানকে নিয়ে ৯৭ সংগঠনের যৌথ বিবৃতি Aug 25, 2025
img
পর্যটন ভিসা ফি ১৩৫ শতাংশ বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র Aug 25, 2025
img
হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতারা Aug 25, 2025
img
প্রেমের টানে কুষ্টিয়ায় এসে চীনা যুবকের বিয়ে Aug 25, 2025