ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের কড়া অবস্থানের জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা কৌশল গ্রহণ করেছে। উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে ইসলামাবাদ ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ভারতের সাথে বিদ্যমান একাধিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করছে। বিশেষ করে, দুই দেশের মধ্যে কাশ্মির সীমান্ত বরাবর যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতি চুক্তি রয়েছে, তা এখন কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে টানা কয়েক রাত ধরে ছোট অস্ত্রের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে, কিছু এলাকায় তিন রাত ধরেই গুলি বিনিময় হয়েছে, আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, তিন রাতের মধ্যে দু’টি রাতে সংঘর্ষ হয়েছে।
কাশ্মিরের অভ্যন্তরেও পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করতে ব্যাপক ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
উত্তেজনার অংশ হিসেবে ভারত পাকিস্তানমুখী নদীগুলোর পানিপ্রবাহ সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তা এবং ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ত্যাগের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতের সাথে একাধিক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, বিশেষ করে কাশ্মির সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর যুদ্ধবিরতির চুক্তি, স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে ভারতের বিভিন্ন শহরে কাশ্মিরি মুসলিম শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক শিক্ষার্থী হুমকি ও সহিংসতার আশঙ্কায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। ভারতের অভ্যন্তরে মুসলিমবিরোধী মনোভাবও এই সংকটের জটিলতা আরও বাড়িয়ে তুলছে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।
আরএম/টিএ