সাত বছর ধরে সৌদি সরকার নিয়মিত আয়োজন করছে ‘রিয়াদ সিজন’ শিরোনামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। তবে প্রতি সিজনে আয়োজনটির নাম থাকে আলাদা। প্রতি বছরই এ আয়োজনের বিনোদন, সংস্কৃতি, খেলাসহ নানা সেগমেন্টে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিনোদনপ্রেমীরা জড়ো হন সৌদিতে।
বাংলাদেশও অংশ নেয় এই আয়োজনে। গত বছর আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় রিয়াদে। এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটির দাম্মাম শহরে। এবারের আয়োজনের নাম ‘পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড’। বাংলাদেশের পাশাপাশি এতে আরও অংশ নিয়েছে সুদান, ভারত, ফিলিপাইনসের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা।
জানা গেছে, দাম্মামের আল খোবার আল ইসকান পার্কে ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ আয়োজন। প্রতিটি দেশ চারদিন করে নিজেদের ঐতিহ্য তুলে ধরছে এতে। ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত অংশ নেবে বাংলাদেশ। কারুশৈলী প্রদর্শনী, দেশীয় খাবার, শিশুদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন, কর্মশালাসহ থাকছে বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে কনসার্ট।
এতে অংশ নেবেন বাংলাদেশের রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস, কণা ও ইমরান। এর আগেও সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দেশটিতে গান গাইতে গিয়েছিলেন জেমস। এবারে এটি তার দ্বিতীয় যাত্রা। গত বছর ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামের এক কনসার্টে অংশ নিয়েছিলেন সংগীতের এ তারকা। ওইসময় তার আগমনে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্ক হয়ে উঠে কানায় কানায় পূর্ণ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এর আগে এতো প্রবাসী বাঙালিদের এমন মিলনমেলা সৌদির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি! ‘রিয়াদ সিজন’ নামের এ আয়োজনে অংশ নিয়ে জেমস নিজেও হয়েছিলেন মুগ্ধ।
মঞ্চে পারফর্মের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেমস বলেন, রেমিটেন্সযোদ্ধারা অনেক কষ্ট করেন। কর্মমুখর জীবনে তাদেরকে যে একটু সময়ের জন্য আনন্দিত করতে পারলাম, সেই সাথে সংগীতের মাধ্যমে তাদের সাথে যে মেলবন্ধন, তারা এনজয় করলো। আশা করি তারা দেশের জন্য সামনে আরও কাজ করবেন। তাদের গান শোনাতে পেরে আমি নিজেও মুগ্ধ। আমি আবারও আসতে চাই এখানে গান শোনাতে।
আয়োজনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে দিলশাদ নাহার কণা বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি থাকেন সৌদিতে। তারা আমাদের দেশের রেমিটেন্সের চাকা সচল রাখেন। এ ধরনের মানুষদের কিছুটা বিনোদিত করতে পারলে নিজের কাছেই বেশ ভালো লাগে। সেই লক্ষ্যেই তাদের কাছে যাওয়া।
ইমরান মাহমুদুল বলেন, সৌদি আরবে আগেও প্রবাসীদের গান শোনাতে গিয়েছি। এবার আবারও যাচ্ছি। মরুর এই দেশে আমাদের প্রবাসী ভাই ও বোনেরা অনেক পরিশ্রম করেন। দেশে রেমিটেন্স পাঠান। তাদের জন্যই আবারও যাওয়া। ১ মে দাম্মামের আল ইসকান পার্কে আমি হাজির থাকবো। সবার সঙ্গে দেখা হবে, গান হবে এবং অনেক ফান হবে। আমি পারফর্ম করব বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। সবার পছন্দের গানের সঙ্গে সুন্দর কিছু সময় কাটবে।
আরআর/এসএন