কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু প্রজনন, বংশবৃদ্ধি, মজুত এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও ১ মে থেকে হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদে এ নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, যার আওতায় মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করাসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর তিনমাসের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। গত ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) জানায়, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এসময় বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম জানান, মাছ আহরণ বন্ধ থাকাকালীন সময়ে জেলেদের ২০ কেজি হারে ভিডিএফ চাল বিতরণ করা হবে। রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা মিলে সরকারি তালিকাভুক্ত প্রায় ২৬ হাজার ৮৬৬ জন জেলে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির জেল প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। এ সময়ে রাঙামাটি জেলার সীমানার মধ্যে সব বরফকল বন্ধ থাকবে। এসময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হবে।
আরএম/টিএ