ছেলে থেকে মেয়েতে রুপান্তরিত হলেন হলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোর সন্তান। সম্প্রতি রবার্ট ডি নিরোর ছেলে অ্যারন নিজেকে নারী হিসেবে রুপান্তরিত করেছেন। বর্তমানে তিনি এরিন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আর সন্তানের এই রুপান্তরকে স্বাগত জানিয়েছেন নিরো।
ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ডি নিরো বলেন, আমি আমার সন্তান অ্যারনকে ভালোবেসেছি এবং সমর্থন করেছি। এখন কন্যা এরিনকে ভালোবাসি ও সমর্থন করি। এতে বড় ব্যাপার কী আছে, আমি জানি না। আমি আমার সব সন্তানকেই ভালোবাসি।
বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দেম’-এর সঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের নতুন পরিচয়ে আসা এবং ডি নিরো পরিবারের সাত সন্তানের একজন হিসেবে বড় হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এরিন ডি নিরো। তিনি বলেন, দৃশ্যমান হওয়া আর সত্যিকার অর্থে দেখা দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি সবসময় দৃশ্যমান ছিলাম, কিন্তু মনে হয় এখনো কেউ আমাকে সত্যিকার অর্থে দেখেনি।
এরিন আরও জানান, কোনো বাবা-মা নিখুঁত নন, তবে আমি কৃতজ্ঞ যে আমার বাবা-মা আমাকে মিডিয়ার আলো থেকে দূরে রেখেছেন।
তাঁরা সবসময় চেয়েছেন আমি যেন স্বাভাবিক এক শৈশব কাটাতে পারি, যতটা সম্ভব হয়।
একই সাক্ষাৎকারে নিজের পরিচয় খোলাসা করার পেছনে এরিন তার অন্যতম অনুপ্রেরণা হিসেবে লাভার্ন কক্সের নাম বলেন। তিনি জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো পাবলিক স্পেসে দেখি ট্রান্সজেন্ডার নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের প্রকাশ করছেন। তখন তাদের সাফল্য দেখি আর মনে হয় হয়তো আমার জন্যও এটা সঠিক সময়।’
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে এরিন লেখেন, ‘আপনারা যারা এত ভালোবাসা ও সমর্থন জানিয়েছেন সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
এত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার অভ্যাস নেই আমার। যারা জানতে চাচ্ছেন আমি কোনো সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কি না, আসলে আমি শুধু সাধারণ একটা মেয়ে। সবার বার্তায় সাড়া দিতে না পারলে আগেই দুঃখিত।’
১৯৯৫ সালে রবার্ট ডি নিরো এবং অভিনেত্রী টুকি স্মিথের ঘরে জন্ম নেয় এরিন। এতো বড় তারকার ঘরে জন্ম নিলেও মিডিয়ার লাইমলাইটের বাইরেই রাখা হয় তাকে। সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে তুমুল আলোচনায় উঠে আসেন এরিন। তিনি বর্তমানে মডেলিং, ভয়েস অভিনয় এবং ভবিষ্যতে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
আরআর/এসএন