পশ্চিম নাইজারে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। গত সপ্তাহে এক হামলায় তাদের অপহরণ করা হলেও এত দিন তা প্রচার পায়নি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ভারতের এক রাজ্যের নাইজারে পাঠানো এক অনুরোধপত্র রয়টার্সের হাতে এলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নাইজারের দুই নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ওই হামলায় ১২ জন সৈন্যও নিহত হয়েছিল। রয়টার্স শনিবার সে সংবাদ প্রকাশ করে। ত্রি-সীমান্ত অঞ্চলের সাকোইরা গ্রামের কাছে হামলাটি হয়। পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল দেশ নাইজার, বুরকিনা ফাসো এবং মালির সীমান্ত অঞ্চলটিতে মিলিত হয়েছে।
নাইজারের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীরা নাইজারের কান্দাদজি বাঁধ প্রকল্পে সেবা প্রদানকারী একটি ভারতীয় কোম্পানির হয়ে কাজ করছিলেন।
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের স্থানীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাঁচজন নাগরিক তিলাবেরি অঞ্চলে কাজ করছিলেন। পাঁচজনই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এবং নাইজারে ভারতীয় দূতাবাস তাদের মুক্তির জন্য নাইজার কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চেয়েছে।
অপহরণকারী সশস্ত্র ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা হয়নি। তবে গত মাসে নাইজার ত্রি-সীমান্ত এলাকার কাছে একটি মসজিদে হামলার জন্য ইসলামিক স্টেটের সহযোগী ইআইজিএস গ্রুপকে দায়ী করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ওই হামলায় কমপক্ষে ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।
নাইজার, মালি এবং বুরকিনা ফাসো আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত একটি জিহাদি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ২০১২ সালে উত্তর মালিতে তুয়ারেগ বিদ্রোহ থেকে শুরু হয়ে পরে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে গোষ্ঠীটি।
এ বছর অপহরণের ঘটনা তীব্র হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। জানুয়ারিতে একজন অস্ট্রিয়ান নারী এবং এপ্রিলের শুরুতে একজন সুইস নাগরিক নাইজারে অপহৃত হন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে নাইজার ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্তে চারজন মরক্কোর ট্রাকচালক নিখোঁজ রয়েছেন।
এসএন