একজন ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলা। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তব করতে পরিশ্রম, মেধা, ধৈর্য্য আর ভাগ্যের সহায়তা লাগে। সবকিছু এক বিন্দুতে মিললেই কেবল একজন ক্রিকেটার দেশের জার্সিতে মাঠে নামতে পারেন। সেটার জন্য অনেকেই অন্যক ত্যাগ স্বীকার করেন।
তবে যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় দলে যাওয়ার পথটাও খানিকটা বদলে গেছে। এক সময় ক্রিকেটারদের বাছাই করতে মাঠে বসে খেলা দেখতেন টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। তবে এখন ভিডিও ফুটেজ থাকায় সহজেই ক্রিকেটাররা নজরে আসেন। তাই বাছাই প্রক্রিয়াটা খানিকটা সহজ হয়েছে বলে মনে করেন স্টিভেন ফিন। যদিও ক্রিকেটারদের জন্য কাজটা কঠিনই।
ইংল্যান্ডের এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘ইংল্যান্ড দল গঠনের পদ্ধতি বদলে গেছে। আমি ভাবি, দলে ডাক পাওয়ার আশায় থাকা খেলোয়াড়দের সেই অনুভূতিগুলো, যেগুলো আমি খুব ভালোভাবে জানি, সেগুলোও কি বদলে গেছে? এখনো একজন খেলোয়াড়ের জন্য পুরোনো ধাঁচে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে। যদিও আমার মনে হয় এ পথটি এখন ইংল্যান্ড দলে ঢোকার ক্ষেত্রে পথ অনেক কঠিন হয়ে গেছে।’
এ ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের তরুণ স্পিনার শোয়েব বশিরের উদাহরণ টেনেছেন ফিন। তিনি বলেন, ‘বেকার, টার্নার এবং যারা ভালো ব্যাটসম্যানদের ভড়কে দিতে পারে, তারা জানে একটি পারফরম্যান্স, এমনকি একটি স্পেলও ইংল্যান্ড দলে ডাক পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। এমন নজিরও আছে।'
'স্টোকস অফ স্পিনার শোয়েব বশিরকে প্রথম দেখেছিলেন একটি সোশ্যাল মিডিয়া ক্লিপে। এরপর সেটি রব কি ও ম্যাককালামের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেন। এরপর বেশি দেরি হয়নি। বশির ইংল্যান্ড স্কোয়াডে ঢুকে যান।’-যোগ করেন তিনি।
এসএন