জাতীয় ফুটবল দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মোঃ ঈসা ফয়সাল। ফুটবলারের পাশাপাশি তার আরেক পরিচয় পুলিশের কনস্টেবল। চলমান পুলিশ সপ্তাহে ঈসা আজ আইজি ব্যাজ পেয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জাতীয় ফুটবলার ঈসাকে এই ব্যাজ পরিয়ে দেন।
পুলিশ সপ্তাহে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার, শাহেদা আক্তার রিপা ও নারী দলের সহকারী কোচ মাহমুদা আক্তার আজ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আমন্ত্রিত ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশ তাদেরকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করে।
বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ সম্মাননার স্মারক আইজি ব্যাজ। এটা পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ঈসা, 'আমি এই সম্মান পেয়ে অত্যন্ত খুশি। সেবা, বিশেষ কীর্তি, রাষ্ট্রীয় অবদানের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়। আমার বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং দেশের জন্য অবদানও রাখা হয়েছে।'
কনস্টেবল হলেও ঈসা বছরের প্রায় সময়ই ফুটবল নিয়েই থাকেন। তেমন ডিউটি তার করতে হয় না, 'বাংলাদেশ পুলিশ দল প্রিমিয়ার লিগ খেলে। সেখানে আমরা প্রতিনিয়ত অনুশীলন করি। লিগের খেলা না থাকলে জাতীয় দলে ব্যস্ততা থাকে। ফুটবল খেলা ও অনুশীলনই মূলত করে থাকি। জাতীয় নির্বাচন বা বিশেষ পরিস্থিতিতে অবশ্য পুলিশের দায়িত্বও পালন করি।'
বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল দলে ১৫ জন ফুটবলার রয়েছেন যারা পুলিশে চাকরি করেন। বিদেশি সহ অন্য ২০ ফুটবলারকে পুলিশ ফুটবল ক্লাব আলাদাভাবে চুক্তি করে ৷ ফুটবলার ও পুলিশ দুই পরিচয়ই দিতে স্বাচ্ছন্দ্য ঈসার, 'পুলিশ আমার পেশা। জাতীয় ফুটবলার এটা আমার গৌরবের। দুই ভাবেই আমি দেশকে সেবা দিতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।'
২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগ দেন ঈসা। ছয় বছর বেশি সময় চাকরি করার পর এএসআই পদে পরীক্ষা দিতে চান জাতীয় দলের এই ফুটবলার, 'আমাদের পদোন্নতি পরীক্ষার মাধ্যমে। এএসআই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।'
২০১৮ সাল থেকে পুলিশে চাকরি ও পুলিশ দলে খেলছেন ঈসা। নিজের ফুটবল যোগ্যতা দিয়ে বয়সভিত্তিকের পাশাপাশি সিনিয়র জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার হয়েছেন ঈসা। ঈসার ফুটবলে হাতেখড়ি রংপুরে স্থানীয় পর্যায়ে। তৃণমূল ফুটবলে খুব দ্রুত আলো ছড়ান। অল্প সময়ে ঢাকায় এসে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন। ফুটবলের মাধ্যমেই পুলিশে চাকরির প্রস্তাব আসে।
এসএন