যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যেকোনো ব্যক্তি বা দেশ যদি ইরান থেকে তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনে, তবে তাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। বৃহস্পতিবার শাফাক নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় বলেন, ‘যারা এই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করবে, তারা কোনোভাবেই, কোনো রূপে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।’
হুমকিটি এমন সময় এল, যখন শনিবার রোমে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার চতুর্থ পর্ব ওমানের অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘেই বলেন, তেহরান এখনো একটি ন্যায্য ও টেকসই চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন আলোচনার সময়সূচি নির্ভর করবে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর।’
আলোচনার এই স্থগিতাবস্থার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সামরিক তৎপরতার কথাও উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ইরানকে হুথি গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থনের জন্য সতর্ক করে বলেন, আপনারা পরিণতি ভোগ করবেন—যেখানে এবং যখন আমরা নির্ধারণ করব।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চীনের একটি অপরিশোধিত তেল সংরক্ষণ স্থাপনা ও একটি স্বাধীন পরিশোধনাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা। এর কারণ হিসেবে অবৈধভাবে ইরানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল পুনর্বহাল করেন, যার লক্ষ্য হলো—ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনা এবং দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা।
এফপি/টিএ