সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে রমনা থানায় সোপর্দ করেন ছাত্র-জনতা। পরে সিদ্দিককে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা মো. সিদ্দিকুর রহমানের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এদিকে, সিদ্দিক জেলে থাকায় তার সাবেক স্ত্রী মারিয়া মিম কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি সক্রিয় রয়েছেন। নিয়মিত পোস্ট করছেন।
কিন্তু নেটিজেনরা তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তারা মারিয়া মিমের একটি পোস্টে একাধিকবার প্রশ্ন করেন সিদ্দিক বিষয়ে। কিন্তু মিম নিরুত্তর থেকেছেন।
তবে পরের প্রশ্নে মডেল মিম আর চুপ থাকতে পারলেন না।
দুবাই চেক ইন দিয়ে মারিয়া মিম একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাকে দেখা যাচ্ছে বেশ ফূর্তি মুডে শিশা খেয়ে খেয়ে ধোঁয়া ছাড়ছেন। ঐ পোস্টে এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, ‘সিদ্দিক জেলে তুমি কি খুশি?’ এই প্রশ্নে মেজাজ হারান মারিয়া মিম। তিনি উত্তর দেন, ‘বাঙালিরা আসলেই কাঙালি, এক বা নিয়ে পড়ে থাকে এইজন্য তারা সবসময় ফকিন্নি।’
এরপরের উত্তরে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মারিয়া মিম।
নেটিজেনরা অশালীন বাক্য ব্যবহার করলে তিনিও অশালীন বাক্য ব্যবহার শুরু করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মারিয়া মিম বলেন, ‘তোমাদের বোঝা উচিত যে ডিভোর্সের ৫-৬ বছর পরেও কেউ জামাই থাকে না।’
২০১২ সালে সিদ্দিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মারিয়া মিম। ২০১৩ সালে এই সংসার আলো করে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান আরশ হোসেন।
ভালোবেসে সিদ্দিককে বিয়ে করলেও ২০১৯ সালের শেষের দিকে ডিভোর্স হয় তাদের। বিচ্ছেদের আবেদন মিমই করেছিলেন। গুঞ্জন রয়েছে, মিম শোবিজে কাজ করতে চান। কিন্তু সিদ্দিক গৃহিণী হিসেবেই চেয়েছেন। আর এজন্য ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন মিম। তবে আবেদনময়ী অভিনেত্রী মিমের দাবি— সিদ্দিক তাকে মানসিক নির্যাতন করেছে।
আরএম/টিএ