ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহে ১ হাজার ৪০০ জন সদস্যের কাছ থেকে প্রায় ৮২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে র্যাব-১৪। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাজেদুল ইসলাম (৫০) ও তাসলিমা আক্তার (৩৫)।
শুক্রবার (২ মে) গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (৩ মে) দুপুরে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মোছা. ফারহানা খাতুন (২৩) নামের এক ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব এদের আটক করে। প্রথমে সদর উপজেলার চুরখাই এলাকা থেকে সাজেদুলকে আটক করা হয়। এরপর সাজেদুলের তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে তাসলিমাকে আটক করা হয়। সাজেদুল ইসলাম নগরীর চরপাড়া এলাকা এবং তাসলিমা আক্তার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম গ্রামে ভুয়া পরিচয় দিয়ে মিথ্যা আশ্বাসে জাল নথিপত্র তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে কিস্তির মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আসছিল সাজেদুল ও তাসলিমা। ফারহানা খাতুন (২৩) ওই অফিসে মাঠকর্মী হিসাবে চাকরি করতো। এ সুবাদে সাজেদুল ও তাসলিমার সাথে তার পরিচয়। সাজেদুলের কথা মতো ফারহানাসহ সমিতির অন্যান্য মাঠকর্মীরা বিগত এক বছর ধরে আছিম গ্রামের ১ হাজার ৪০০ সদস্যদের নিকট থেকে প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে সাজেদুল ও তসলিমাকে দেয়।
গত এপ্রিলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফারহানা খাতুন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে।
পরে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে চুরখাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা প্রতারক সাজেদুল ইসলাম এবং ঈশ্বরগঞ্জ থেকে তাসলিমা আক্তারকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায় র্যাব।
আরএ/এসএন