উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত: তৈরি বাঙ্কার, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত জনগণ

পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি। হামলার ঘটনায় দুই দেশের সরকারই একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এতে করে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উপমহাদেশে।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রামে ইতোমধ্যেই বাঙ্কার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারতের প্রতিশোধমূলক হামলার অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী এলাকা ও ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রগুলো টার্গেট হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আজাদ কাশ্মীরের প্রশাসন সব মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।

তবে দীর্ঘদিনের সংঘাতপীড়িত এই অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত নয়। অনেকেই জানাচ্ছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাশে থেকে তারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত। এক আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, তবে যদি যুদ্ধ আসে, আমরা প্রস্তুত। এক বিন্দু পাকিস্তানি ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না।’

ভারতের দিকেও চলছে প্রস্তুতি। জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে সাধারণ মানুষ বাংকার নির্মাণে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে অংশ নিতে চান অনেকেই। স্থানীয়রা বলছেন, তারা সেনাবাহিনীকে খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির ইঙ্গিত:

ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বৃহৎ সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি চলছে

পাকিস্তান সীমান্তে ড্রোন নজরদারি ও বিমানবাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে

উভয় দেশের মিডিয়ায় জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ও যুদ্ধ-প্রস্তুতির খবর শিরোনামে

বিশ্লেষকরা বলছেন, দশকের পর দশক ধরে কাশ্মীর অঞ্চলই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের কেন্দ্রে রয়েছে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে এ নিয়ে দুই দেশ তিনবার সরাসরি যুদ্ধ করেছে। পহেলগামের হামলার পর পরিস্থিতি ফের সেই দিকেই এগোচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও, দুই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুদ্ধোন্মুখতা এখন প্রবল।

আরএম/এসএন 

Share this news on: