কাল বাজারে আসছে সাতক্ষীরার গোপালভোগ

আর মাত্র এক দিন পরেই সাতক্ষীরায় শুরু হবে আম বিক্রির মৌসুম। মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে সাতক্ষীরার আম দেশের অন্য এলাকার তুলনায় আগেভাগে পরিপক্ব হয়। ফলে আমের ভালো দাম পান এই অঞ্চলের কৃষকরা। কিন্তু জেলায় আম বিক্রির একটি মাত্র বাজার হওয়ায় জায়গা স্বল্পতার কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের। সে কারণে শুধু সুলতানপুর বড়বাজার নামের একটি বিক্রয়কেন্দ্রের ওপর নির্ভর না করে আরও বাজার তৈরির দাবি কৃষকদের।

সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আমের কদর দেশ-বিদেশে। আর এ জেলার আম পরিপক্ব হয় সবার আগে। ফলে এসব আম বাজারে আগে উঠায় তুলনামূলক ভালো দাম পান কৃষকরা।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার আমবাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টনের গুণমান ঠিক রাখতে জেলা প্রশাসন আম সংগ্রহ ও বাজারজাতের নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়েছে।

নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ ৫ মে, হিমসাগর ২০ মে, ল্যাংড়া ২৭ মে এবং আম্রপালি ৫ জুন থেকে বাজারজাত করা যাবে। ইতিমধ্যে গোবিন্দভোগ আম পাকতে শুরু করেছে এবং আগেভাগেই বাজারে উঠেছে।

এদিকে বাজারব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন, জেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, সাতক্ষীরায় একটি মাত্র বড় বাজার থাকায় সবাইকেই সেখানেই আম বিক্রি করতে হয়। ফলে জায়গা স্বল্পতার কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় চাষি, পাইকার ও ক্রেতাদের। সুলতানপুর বড়বাজারে রাস্তার জায়গা কম থাকায় আম বিক্রি করতে হয় চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। তাই আম বাজারে আসার আগে সুলতানপুর বগবাজারের পাশাপাশি কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ বাজার সৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন তারা।

এফপি/এসএন

Share this news on: