কি জিনিস বানালো ইরান, চমকে দিলো বিশ্বকে

নতুন করে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই দেশটি রবিবার (৫ মে) একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ‘কাসেম বাসির’ নামের এই কঠিন জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১,২০০ কিলোমিটার, যা ইরানের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে ইরানের মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থনের কারণে। ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ নামে পরিচিত নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হামাস, হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুথি ও ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষক ইরান।

গত বছর অক্টোবরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়, যখন ইরান তাদের এক শীর্ষ মিলিশিয়া নেতার মৃত্যুর প্রতিশোধে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর জবাবে ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে পাল্টা আঘাত হানে।

রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহর সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের সময় ক্ষেপণাস্ত্রটির ভিডিও প্রকাশ করে ইরান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো দেশ ইরানকে আক্রমণ করলে তারা জবাব দেবে এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে প্রধান লক্ষ্য বানাবে।

এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানের মধ্যস্থতায় চলমান পরমাণু আলোচনা। গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপ ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি প্রত্যাহারের পর সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে ইরানকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যেসব দেশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, তারাই পারমাণবিক অস্ত্র বানায়।” একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও।

তেহরান অবশ্য দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।


এসএস/টিএ

Share this news on: