ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হোন বা অন্য যেকোনো পদে থাকুন, কেউই যেন আইনের ঊর্ধ্বে না যেতে পারেন সেই বিষয়কে সামনে রেখেই কাজ করছে ঐকমত্য কমিশন।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ভাসানী জনশক্তি পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে এ মন্তব্য করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, যেভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করা হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে একটি জবাবদিহিতামূলক ও কাঠামোগত পরিবর্তনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যাতে, ভবিষ্যতে তরুণদের আর রাস্তায় জীবন দিতে না হয়।
বৈঠকে ভাসানী জনশক্তি পার্টির আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা সংস্কারের মধ্যদিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। জাতীয় বীরদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিতসহ বেশ কিছু প্রস্তাব নিয়ে আমরা কমিশনের কাছে এসেছি।
তিনি জানান, গণতন্ত্র ও জনসম্পৃক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে দলীয়ভাবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী তারা।
এদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন ওই সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। বৃহস্পতিবার (০৮ মে) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, এদিন রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। ফ্লাইটে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার ঘনিষ্ট কেউ ছিলেন না। তিনি চিকিৎসার উদ্দেশে থাইল্যান্ড গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, গত রাত ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
জানা গেছে, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় এ মামলাটি করা হয়। মামলার বিবরণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নামও উল্লেখ রয়েছে।
এসএম/টিএ