সম্প্রদায়ের নামে রাজনীতি ও কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ না হলে দেশে শান্তি আসবে না, বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধের অহিংসার বাণী ধারণ করলে বাংলাদেশে সহিংসতা, হত্যা ও দমন-পীড়ন দেখা যেত না।
রোববার (১১ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে আসছে বাংলাদেশে। এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আর নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা সাম্প্রদায়িকতার ন্যারেটিভ তৈরি করে তারা কখনও এ দেশের বন্ধু হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গৌতম বুদ্ধের বাণী যদি ধারণ করতাম, তবে হানাহানি থাকতো না। বেআইনিভাবে ক্ষমতায় থাকার লোভে মানুষ মারা হতো না।’
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পলায়নের পর, যে সরকার এসেছে তারা নির্বাচনের ব্যাপারে উদাসীন। মানুষ নানা রকম সন্দেহ করছে। সবচেয়ে বড় সন্দেহের বিষয়, যে সাবেক রাষ্ট্রপতি খুনের মামলার আসামি, তিনি রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় দেশ ছেড়ে চলে গেলেন।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে জোর করে পুশইন করছে। রাষ্ট্রীয় এমন অন্যায় নিয়ে সরকার নিশ্চুপ কেন? তাহলে তো শেখ হাসিনা যা করেছে, আপনারাও তাই করছেন। কোন সাহসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে লোক বাংলাদেশে জোর করে ঢোকাচ্ছেন?’
আরএ/এসএন