টানা চার দিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হলেও কৌশলগতভাবে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে চীন। আকাশ ও স্থলে পাল্টাপাল্টি হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ, সাময়িক স্বস্তি ফিরে আসে উপমহাদেশে। তবে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ‘সুযোগের জানালা’ হিসেবে কাজে লাগিয়েছে বেইজিং।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের হয়ে চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি JF-17 Thunder যুদ্ধবিমান ব্যবহারের ফলে চীন তাদের সামরিক সক্ষমতা পরখের দুর্লভ সুযোগ পায়। পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে—যদিও ভারত এ দাবি অস্বীকার করেছে।
সংঘাতের মধ্যেই চীনের সমরাস্ত্র রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়ে। ‘ডিফেন্স টক’ জানায়, চীনা অস্ত্র খাতে বিনিয়োগ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা ফ্রান্সসহ পশ্চিমা প্রতিযোগীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে রাফায়েলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় চীনা যুদ্ধবিমানের চাহিদা বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে।
চীনের আরেকটি কৌশলগত সুবিধা এসেছে পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান CPEC এবং ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ প্রকল্প থেকে। এই সংঘাতে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে চীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। পাশাপাশি মহাকাশ প্রযুক্তি, নজরদারি ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায়ও চীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
ফলে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা সাময়িক বিপর্যয় ডেকে আনলেও চীন এই অস্থিরতা থেকে নিজেদের অবস্থান কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
এসএস/টিএ