ভারতের হুমকি ফাঁকা বুলি প্রমাণিত হয়েছে

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ১৮ দিনের সামরিক অচলাবস্থার অবসান এবং যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দক্ষিণ এশীয় ভূরাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে। এ সংঘাতে পাকিস্তান কেবল কৌশলগতভাবে সফল হয়নি, বরং জাতীয় ঐক্য, পরিপক্বতা ও প্রতিরোধশক্তির প্রতীক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে।

এই প্রতিরক্ষার অগ্রভাগে ছিলেন সাহসী পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে পাকিস্তান আর্মি ও পাকিস্তান এয়ারফোর্স, যারা অসাধারণ দক্ষতা, সমন্বয় এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
ঐতিহাসিক এক বিমানযুদ্ধে পাকিস্তান সংখ্যায় পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। পাশাপাশি ৮০টিরও বেশি ভারতীয় ও ইসরায়েলি ড্রোন নিখুঁতভাবে প্রতিহত করা হয়, যাতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ নিরাপদ থাকে।

পাকিস্তান পাল্টা হামলায় ভারতের ২৬টি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে, যার মধ্যে একটি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিট এবং কাশ্মীরের একাধিক ফ্রন্টলাইন পোস্ট ধ্বংস হয়।
এই সামরিক সাফল্যের পেছনে ছিল পাকিস্তান সরকারের বিচক্ষণ ও সংযত নেতৃত্ব, যারা অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা এড়িয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে। সরকারের কৌশলী অবস্থান দেশীয় স্থিতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে প্রশংসা কুড়ায়।

দুর্লভ এক জাতীয় সংহতির নিদর্শন হিসেবে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বিভেদ ভুলে সবাই এক কণ্ঠে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে দাঁড়ায়। এই ঐক্যপূর্ণ অবস্থান শত্রুদের প্রতি পরিষ্কার বার্তা দেয়—জাতীয় প্রতিরক্ষার প্রশ্নে পাকিস্তান অটুট।

এই সংঘাত কাশ্মীর ইস্যুকে আবারো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামনে নিয়ে আসে—যা বরাবরই এড়িয়ে চলতে চায় ভারত। ভারতের আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা ব্যর্থ হলেও, পাকিস্তান শক্ত সমর্থন পেয়েছে চীন ও তুরস্কের মতো সুদীর্ঘ সময়ের পরীক্ষিত বন্ধুদের কাছ থেকে।

সংঘাতের সময় পাকিস্তানের প্রচারমাধ্যম—গণমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম—দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ বার্তা ছড়িয়েছে, সফলভাবে ভারতীয় অপপ্রচারের মোকাবিলা করেছে। বিপরীতে, ভারতের সংবাদমাধ্যম ভুল তথ্য ও অতিরঞ্জনের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়েছে এবং তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে এ জাতীয় সাফল্যের প্রকৃত প্রাণশক্তি ছিল পাকিস্তানের জনগণ। সংঘাতের সময় শান্ত, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন, এবং জাতীয় গর্বে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই জনগণই প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও প্রতিক্রিয়াকে দিয়েছে অতিরিক্ত শক্তি।

ভারতের পক্ষ থেকে আজাদ কাশ্মীর দখল এবং বেলুচিস্তান অস্থিতিশীল করার যেসব হুমকি উচ্চারিত হয়েছিল, সেগুলো এখন ফাঁকা বুলি প্রমাণিত হয়েছে। বিজেপি সরকারের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের আশা ভেস্তে গেছে। এবং দীর্ঘ সময় পর, বিশ্ব পাকিস্তানকে ভারতের চেয়ে অধিক দৃঢ় ও সক্ষম দেশ হিসেবে দেখেছে।

তিনি বলেন, "এই সংঘাত কেবল একটি সামরিক লড়াই ছিল না—এটি ছিল জাতীয় শক্তির সর্বাঙ্গীন পরীক্ষা। এবং পাকিস্তান সেই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাই পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী, সরকার, সকল রাজনৈতিক দল, দায়িত্বশীল ও দেশপ্রেমিক গণমাধ্যম এবং সাহসী জনগণকে। এ বিজয় জাতীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং অদম্য পাকিস্তানি চেতনার প্রতীক।"

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত May 15, 2025
img
দুর্গাপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ১ জনের, আহত ১০ May 15, 2025
img
মেসির সঙ্গে পার্টি করেছি, শাকিব খানের সঙ্গে কাজের সময় পাইনি : মারিয়া মিম May 15, 2025
img
৫৭ বাংলাদেশিকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে ফেরত May 15, 2025
img
সাবেক বিডিআরের ২৭ জওয়ান কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন May 15, 2025
img
গাভাস্কারের অনুরোধে আইপিএলের বাকি অংশে থাকছে না চিয়ার লিডার! May 15, 2025
img
লা লিগায় রেকর্ড গড়লেন এমবাপ্পে May 15, 2025
img
আজ বাংলা চলচ্চিত্রের 'মিয়া ভাই' কিংবদন্তি ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী May 15, 2025
img
বরিশালে মাহিন্দ্রা-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ May 15, 2025
img
থাইল্যান্ড পালাতে গিয়ে বিমানবন্দরে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আটক May 15, 2025