নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো রাজ্যে সন্দেহভাজন ইসলামপন্থি জঙ্গিদের হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর একাধিক সদস্য নিহত ও নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার ভোরে ১৫৩তম টাস্ক ফোর্স ব্যাটালিয়নের একটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুইজন নিরাপত্তা সূত্র ।
বছরের শুরু থেকে বোকো হারাম ও এর থেকে আলাদা হওয়া ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্স (আইএসডাব্লিউএপি) গোষ্ঠীর হামলা বেড়ে যাওয়ায় আবারও বড় ধরনের জঙ্গি প্রত্যাবর্তনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব গোষ্ঠী সশস্ত্র ড্রোন এবং রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমার মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ।
হামলা থেকে বেঁচে ফেরা এক সেনা জানান, জঙ্গিরা মোটরসাইকেল ও সাঁজোয়া বন্দুকবাহী গাড়িতে করে এসে স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে মার্তে জেলার সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেনারা পিছু হটে পাশের দিকওয়া জেলায় অবস্থিত ২৪তম টাস্ক ফোর্স ব্রিগেডে আশ্রয় নেয় এবং পরে সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনা সদস্য বলেন, ‘আমাদের অনেক সেনাকে তারা হত্যা করেছে এবং অনেককে জীবিত অবস্থায় ধরে নিয়ে গেছে।’ নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওনিয়েচি অ্যাপোলোনিয়া আনেলে বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
তবে এখনো প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
সামরিক বাহিনীকে সহায়তাকারী বেসামরিক সংস্থা সিভিলিয়ান জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের (সিজেটিএফ) এক সদস্য জানান, জঙ্গিরা সেনাদের গুলি ও গোলাবারুদ লুট করেছে এবং মাইন প্রতিরোধী সাঁজোয়া যানগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে।
সিজেটিএফ সদস্য আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনী এখনো নিখোঁজ সেনাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং ঠিক কতজন সেনা নিহত হয়েছেন, তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।’ নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বোকো হারাম ও আইএসডাব্লিউএপি-এর মধ্যে লড়াই কিছুটা কমে যাওয়ায় এবং তাদের হাতে আকাশপথে নজরদারি ও হামলার প্রযুক্তি আসায় এই ধরনের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসএস/টিএ