রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম আলম সাম্যর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এরপর তার মরদেহ ঢাবি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম। তিনি উল্লেখ করেন, সাম্যর ডান পায়ের রানের পেছনের অংশে কাটা জখম রয়েছে। এ ছাড়া পিঠের মাঝ বরাবর লালচে দাগ রয়েছে।
মর্গে সাম্যর বাবা মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘গত পরশু ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। তখনও সে আমাকে বলল, বাবা তুমি চিন্তা করো না, আমি ভালো আছি। এরপর কাল রাতেই আমার ছেলের মৃত্যুর খবর এলো।’
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে খুবই ঠান্ডা স্বভাবের ছিল। কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলায় জড়াত না। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে সে হলেও থাকতে পারেনি; ওর বড় ভাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিল বলে। ৫ আগস্টের পর সে হলে সিট পেয়েছে। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে শুধু বাইকে ধাক্কা লাগার মতো তুচ্ছ কারণে এমন ঘটনা ঘটায়নি তারা। ওকে মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পিতভাবেই এটি করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার সর্বোচ্চ বিচার চাই। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’
স্বজন ও সহপাঠীরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে সাম্যর মরদেহ ঢাবিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই দাফন করা হবে সাম্যকে।
আরআর/টিএ