এনবিআর বিলুপ্তি একটি কসমেটিক সংস্কারমাত্র: মঈন খান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিলুপ্তিকে 'কসমেটিক সংস্কার' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

বুধবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

অর্থনৈতিক সংস্কারে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রেসক্রিপশন প্রসঙ্গে আবদুল মঈন খান বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক প্রকৃতি সবসময় ঠিক বুঝতে পারে না। ফলে তাদের টেক্সটবুক প্রেসক্রিপশনগুলোর তাত্ত্বিক শক্ত ভিত্তি থাকলেও, এগুলো আমাদের আর্থিক ব্যবস্থার মূল সমস্যার কোনো বাস্তব সমাধান দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, 'এনবিআর সম্পর্কিত আমাদের মূল সমস্যা হলো দুর্নীতি। সেক্ষেত্রে কেবল সাইন বোর্ডের পরিবর্তন অথবা রিব্র্যান্ডিং দেশের গুরুতর অসুস্থকর অবকাঠামোতে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনবে না।'

মঈন খান আরও বলেন, 'এমনকি এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে অর্থ উপদেষ্টা নিজেই আশ্বাস দিয়েছেন, তারা এই পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হবে না। যদি এটাই সত্যি হয়, তাহলে পুনর্গঠনের এই ঢাকঢোল বাজানো কেবল একটি নিরর্থক উদ্যোগ ছাড়া আর কিছুই নয়।'

এনবিআর সম্পর্কিত আমাদের মূল সমস্যা হলো দুর্নীতি। সেক্ষেত্রে কেবল সাইন বোর্ডের পরিবর্তন অথবা রিব্র্যান্ডিং দেশের গুরুতর অসুস্থকর অবকাঠামোতে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনবে না।

বিএনপির অন্যতম এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের কর ব্যবস্থার একটি সম্পূর্ণ সংস্কার করা আসলেই প্রয়োজন। যেখানে বিদ্যমান এই ব্যবস্থা যতটা কর রাজস্ব সংগ্রহ করছে, তার চেয়ে অনেক বেশি কর রাজস্ব ফাঁকি দিতে সাহায্য করছে বলেও শক্ত অভিযোগ রয়েছে।'

সংশোধন ছাড়াই বহুল আলোচিত রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ সোমবার রাতে জারি করা হয়। জারিকৃত অধ্যাদেশে শুধু রাজস্বনীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে অ্যাডমিন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।

জারি করা অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্বনীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ এবং কর আহরণ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। অর্থাৎ ‘পরিবীক্ষণ’ শব্দের পরিবর্তে ‘মূল্যায়ন’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। আর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে প্রশাসনিক অনুবিভাগের বিভিন্ন পদ অ্যাডমিন ক্যাডারের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

নতুন অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে। এই জনবল থেকে প্রয়োজনীয় জনবল রাজস্বনীতি বিভাগে পদায়ন করা যাবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত হয়ে তার জনবল রাজস্বনীতি বিভাগে ন্যস্ত হবে।

এফপি/টিএ
 

Share this news on:

সর্বশেষ