ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান এ আবেদন করেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য শনিবার দিন ধার্য করেন।
আসামিরা হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন বিকেল তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৩ মে রাত পৌনে ১২ টায় সাম্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। ফেরার পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের নিকটে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌছান। তখন অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামি তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে ভুক্তভোগী সাম্যের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তখন সাম্য ও তার দুই বন্ধু আসামিদের নিকট মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
পরর অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামি সাম্য ও তার বন্ধুকে ইট দিয়ে আঘাত করেন। তাদের কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমাট জখম করে। এদের মধ্যে একজন আসামি সাম্যকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ের ডান রানের পিছনে উপর্যপুরী আঘাত করেন৷ তার বন্ধু মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদের ডান হাতের কবজির ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন৷ গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাম্য মাটিতে পড়ে গেলে এবং আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা তাদের ভয়ভীতি ও হমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে সাম্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এসএন