শান্তি আলোচনা শুরুর আগে রাশিয়াকে নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “রাশিয়া প্রকৃতপক্ষে এই যুদ্ধের ইতি টানতে চায় না।” তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইউক্রেন, তবে শুরু থেকেই এই উদ্যোগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন জেলেনস্কি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ (dpa) এবং DW News জানিয়েছে, আজই ইস্তাম্বুলে রুশ ও ইউক্রেনীয় কূটনীতিকদের মধ্যে এ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ দেওয়া পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন,“ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, তার টিম এবং তুরস্কের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আজকের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পুনরায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই মনে করেন এবং ইউক্রেনের প্রতি তার সমর্থন অটুট।”
তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নিচ্ছে একটি শক্তিশালী প্রতিনিধি দল, যার মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের দপ্তরপ্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান এবং গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
তবে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের গঠন দেখে জেলেনস্কি হতাশ।রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের গঠন দেখে এটা পরিষ্কার, তারা আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না,বলেন তিনি।
জেলেনস্কি জানান, আলোচনায় সংশয়ের মধ্যেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন।“রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মান অত্যন্ত নিচু। তবুও এরদোয়ান এবং ট্রাম্পের প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশ্যে অন্তত প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে একটি যুদ্ধবিরতির আশায় আমরা প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছি।”
ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাসটেম উমেরভ। তবে নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না।
জেলেনস্কি তার বক্তব্যে স্পষ্টভাবে বলেন,“আমাদের প্রতিনিধিদের জন্য একটাই অগ্রাধিকার-যুদ্ধবিরতি। আমি এখনো মনে করি, রাশিয়া আসলে এই আলোচনায় আন্তরিক নয় এবং যুদ্ধ থামাতে চায় না। তবে আলোচনার সময় অন্তত কিছুটা আন্তরিকতা তারা দেখায় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।”
আরএ/টিএ