একটা পর্যায়ে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে গিয়েছিল ৯ পয়েন্টে! তবে দলকে আশা হারাতে দেননি কোচ। গত জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়টি দলের ভেতরের বিশ্বাস পোক্ত করে তোলে, বললেন ফ্লিক।
“মানসিকভাবে শক্ত থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বছরজুড়েই আমরা তা করতে চেয়েছি এবং জানুয়ারিতে সুপার কাপ জয়টা আমাদেরকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ফুটবলাররা যেভাবে নিজেদের চূড়া ছুঁয়েছে এবং অন্যরা উন্নতি করেছে, দেখে দারুণ লেগেছে।”
মাঠে ফুটবলাররা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। লামিনে ইয়ামাল, পেদ্রির মতো তরুণরা এই মৌসুমে তারকা হয়ে উঠেছেন, নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন রাফিনিয়ান, রবের্ত লেভানদোভস্কি দেখিয়েছেন অভিজ্ঞতার মূল্য। তবে সবকিছুর নেপথ্য কারিগর তো একজন!
সেই কোচ ফ্লিক বললেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর তার মূল লক্ষ্য ছিল দলের পারস্পরিক বন্ধন পোক্ত করা।
“আমার মনে হয় না মৌসুমজুড়ে এটা ব্যাখ্যা করার ফুরসত খুব বেশি ছিল আমার, তবে দলে একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলা, পারিবারিক আবহ গড়ে তোলায় অনেক জোর দিয়েছি আমি। তীব্র তাড়না ও দারুণ মানসিকতা নিয়ে অনেক কাজ করতে হয়েছে।”
“এখন এই পরিবারকে দেখে দারুণ লাগছে। আমরা যেভাবে পরস্পরকে দেখভাল করি, এটা অনন্য। আমি উচ্ছ্বসিত।”
বার্সেলোনার বিস্ময় বালক লামিনে ইয়ামাল এই মৌসুমে সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছেন বিশ্ব তারকা। মৌসুমজুড়ে অবিশ্বাস্য ফুটবল উপহার দিয়েছেন। লিগ শিরোপা জয়ের ম্যাচেও এস্পানিওলের বিপক্ষে অসাধারণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
১৭ বছর বয়সী তারকাকে নিয়ে হইচই চলছে ফুটবল বিশ্বময়। তবে কোচ মনে করিয়ে দিলেন, গোটা দল মিলেই এমন অর্জন।
“এটা বার্সেলোনার লা লিগা। কোনো একজন ফুটবলারের ব্যাপার এটি নয়। লামিনে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে আমরা একটি দল এবং সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মিলেই দলটা পরিপূর্ণ।”
“সবাই নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করেছে। আমরা একটি দল। আমরা এমন কিছুই চেয়েছিলাম। ক্লাবের সেরা রূপটা আমরা মেলে ধরতে পেরেছি। সমর্থকেরা সবাই গর্বিত হতে পারেন।”
বার্সেলোনার পরের ম্যাচ রোববার ভিয়ারেয়ালের সঙ্গে। ঘরের মাঠে সেদিনই হয়তো শিরোপা উৎসব আরও ভালোভাবে করবে ফ্লিকের দল।
এসএস/টিএ