পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্বীকার করেছেন যে, ভারতের নিখুঁত মিসাইল হামলায় রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ও আরও কয়েকটি স্থানে আঘাত হানা হয়েছে। তিনি জানান, ১০ মে ভোররাতে রাত ২টা ৩০ মিনিটে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির তাকে একটি সুরক্ষিত লাইনে ফোন করে হামলার বিষয়টি অবহিত করেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এটি পাকিস্তানের তরফ থেকে এক ব্যতিক্রমী স্বীকারোক্তি, যেখানে সাধারণত ভারতের সামরিক অভিযান অস্বীকার করা হয়। ইসলামাবাদের পাকিস্তান মনুমেন্টে ‘ইয়াওমে তাশাক্কুর’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেহবাজ বলেন, “আমি আল্লাহর কসম খেয়ে বলতে পারি, জেনারেলের কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাস, সাহস ও দেশপ্রেম।” তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী দেশীয় প্রযুক্তি এবং চীনা জেট-এ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
১০ মে পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, ভারতের ড্রোন ও মিসাইল হামলায় তাদের তিনটি বিমানঘাঁটি—নূর খান (চাকলালা), মুরিদ (চকওয়াল), ও রফিকি (শোরকোট, ঝাং)—লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সে দিন ভোর ৪টার দিকে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমাদ শরিফ চৌধুরী।
ম্যাক্সার টেকনোলজির উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানের নূর খান, মুশাফ, ভোলারী ও শাহবাজ বিমানঘাঁটিগুলিতে স্পষ্ট ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রয়েছে। ২৫ এপ্রিল ও ১০ মে তোলা উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণে এই হামলার প্রমাণ মিলেছে।
শেহবাজ শরিফের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের রাজনৈতিক নেতারাও। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “পাক প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং স্বীকার করেছেন যে ভারত গভীর রাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে—এটি ভারতের সাহস ও নিখুঁত কৌশলের প্রতিফলন।” শিবসেনা (উদ্ধব) নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টিপ্পনী করে বলেন, “সন্ত্রাসী বিমানঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার পরও এই মানুষটির এমন বেখেয়াল অবস্থান সত্যিই তৃপ্তিকর।”
এসএস/এসএন