ইরানের পার্লামেন্ট জানিয়েছে, নিজেদের পরমাণু অধিকার তারা কোন চাপেই ত্যাগ করবে না। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। আগামী শুক্রবার (২৩ মে) ইতালির রোমে এ বিষয়ে পরবর্তী ধাপের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এর আগে একাধিকবার পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে। উভয়পক্ষই ইতিবাচক সুরে কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানকে অবশ্যই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। তাদের কাছে এটি আলোচনার 'রেড লাইন'।
তবে তেহরান এই বিষয়ে আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছে। গত বুধবার (২১ মে) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, চুক্তি হোক বা না হোক, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলবে। তিনি জানান, ইরান কখনও কূটনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি, তবে অতিরিক্ত কোনো দাবি মেনে নেওয়া হবে না।
এ নিয়ে ইরানের পার্লামেন্টও অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এক বিবৃতিতে দেশটির আইনপ্রণেতারা বলেন, ‘অবাস্তব ও অহংকারপূর্ণ দাবি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’ তারা জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের পূর্ণ অধিকার রাখে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানি আইনপ্রণেতারা আরও বলেন, কোনো বিদেশি চাপ ইরানের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও ইরানের অনড় অবস্থান মিলিয়ে রোমে হতে যাওয়া আলোচনায় সমঝোতার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা আশঙ্কা করছেন, আলোচনা ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বিষয়ে একাধিক মার্কিন কর্মকর্তার কাছ থেকে তারা এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে।
টিকে/টিএ