গত কয়েক বছর ধরেই জীবনহানির শঙ্কায় রয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার সালমান খান। ভারতের কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নজরদারিতে এ অভিনেতা। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হত্যার হুমকি ও বাবা সিদ্দিকির মতো রাজনীতিবিদের হত্যার পর সালমান খানের জীবন নিয়ে শঙ্কায় খোদ দেশটির সরকার। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হচ্ছে তাকে।
এরইমধ্যে সালমান খানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে আটক হলেন এক ব্যক্তি। ছত্তিশগড় থেকে আসা এক ব্যক্তিকে আটক করেছে মুম্বাই পুলিশ, যিনি বেআইনিভাবে সালমান খানের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থিত বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন।
এই ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে যখন জিতেন্দ্র কুমার সিং নামের ওই ব্যক্তি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে পৌঁছান। নিজেকে সালমান খানের ভক্ত দাবি করে তিনি জোর করে তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন।
সিকিউরিটি গার্ডরা প্রবেশে বাধা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজের ফোনটি মাটিতে ছুঁড়ে ভেঙে ফেলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাকে সেদিন সকালে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি আবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে ফিরে আসেন।
এইবার তিনি অ্যাপার্টমেন্টের একজন বাসিন্দার গাড়িতে ঢুকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় গেটের কাছে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে।
এরপর বান্দ্রা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রযোজ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সিং জানান, তিনি লুকিয়ে প্রবেশ করছিলেন কারণ সিকিউরিটি গার্ডরা তাকে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছিল না।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই ব্যক্তি সালমানের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করতে পারলেও সালমান খানের মূল বাসভবনে পৌঁছানোর আগেই তাকে থামানো হয়।
১৯৯৮ সালের সেই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ায় সালমান খানের।
দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সালমান খান আজও সেই ঘটনার ছায়া থেকে বের হতে পারেননি। বিষ্ণোই গ্যাং এখনও সালমানকে তাড়া করে বেড়ায়।
একাধিকবার বলিউডের ভাইজানের উপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করেছে তারা। সালমান খানের বাড়িতে গুলিও চালানো হয়েছে। গত বছর সালমান খানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ভারতের রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ হত্যার দায় স্বীকার করে বিষ্ণোই গ্যাং। জানায়, সালমান ঘনিষ্ঠ সবাইকেই এ পরিণতি দেখতে হবে।
আরএম/এসএন