পদ্মানদীর চর থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি পক্ষের ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে পাবনা ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নস্থ পদ্মানদীর চরে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানার গোলাপনগর গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে চপল সরদার, হযরত আলীর ছেলে রিপন, শাহিন আলমের ছেলে রাসেল, মৃত শুকুর আলীর ছেলে সৈকত আলী, ভেড়ামারার জার্মানির ছেলে সেলিম ও লালু এবং সানাউল্লাহ।
এদের মধ্যে আহত সেলিমকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পদ্মানদী থেকে বালু উত্তোলনকারী যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, পাবনার জেলার ঈশ্বরদী সীমানার সাঁড়া এলাকায় পদ্মানদীতে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে মেসার্স বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজের নামে ইজারাদারি গ্রহণ করে আমি বালু উত্তোলন করে আসছি। হঠাৎ ঘটনার দিন সকালে বাহাদুরপুর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার কাঁকান ৪ টি ট্রলার ও দুটি স্প্রীডবোটযোগে শতাধিক সশস্ত্র লোকজন আমার বালু মহালে এসে হামলা চালায়। তাদের এলোপাথাড়িভাবে ছোড়াগুলিতে আমার ৭ শ্রমিক আহত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কাঁকান আমাকে বালু উত্তোলনে বাধা সৃষ্টি করতেই দীর্ঘদিন ধরে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আসছেন। কারণ তিনি অবৈধভাবে ঈশ্বরদী ও লালপুরে পদ্মানদী থেকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার কাঁকানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি এসব ব্যাপারে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
লণ্ডীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো.সজল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টেও নির্দেশে বিএনপি নেতা সুলতান আলী বিশ্বাস টনি ঈশ্বরদী সীমানার মধ্যে সাড়ায় পদ্মানদীতে বালু উত্তোলন করে আসছেন। ঘটনার দিন সকাল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ট্রলার ও স্প্রীডবোডযোগে এসে টনি বিশ্বাসের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। শর্টগানের গুলিতে টনি বিশ্বাসের পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে।
বর্তমানে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরএম/এসএন