কৌশলগত বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করল চীন এবং পাকিস্তান। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১৬ মে দুই দেশের সেনা আধিকারিকের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে স্থির হয় যে, চীনের নিজস্ব যে উপগ্রহ ব্যবস্থা, তা নিজেদের নিরাপত্তার কারণে ব্যবহার করতে পারবে পাক সেনা। ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের আবহে দুই দেশের সেনার এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে এই বিষয়ে মুখ খোলেনি বেজিং কিংবা ইসলামাবাদ।
‘অপারেশন সিঁদুর’-পরবর্তী ভারত-পাক সামরিক সংঘাতে আসিম মুনিরের সেনাবাহিনী চিনা সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে ইঙ্গিত মেলে। চীনে নির্মিত পাক যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে অবশ্য দেশি সমরাস্ত্র দিয়েই ঘায়েল করে ভারত। এই আবহে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বেজিংকে ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সম্মানের’ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। বলেন, “চীন নিশ্চয়ই জানে যে, দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি হল পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস এবং সংবেদনশীলতা।”
সম্প্রতি তিন দিনের সফরে চীনে যান পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। তাঁর সফরের মধ্যেই চীন জানায়, তারা ভারত এবং পাকিস্তানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী’ মনে করে। শুধু তা-ই নয়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সমঝোতা বজায় রাখার ব্যাপারেও তারা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে বলে জানায় বেজিং।
আরআর/টিএ