এক সময় প্রেমেই জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছিলেন অভিনেত্রী মিশমি দাস। অভিনয় থেকে বিরতি নিয়ে ভালোবাসার মানুষটির জন্য শহরের বাইরে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সিঙ্গল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিশমি বলেন, “ভগবান যখন নারী-পুরুষ সৃষ্টি করেছেন, তখনই ভুল করেছিলেন। পুরুষরা আবেগহীন, অনুভূতির দিক থেকে খুব দুর্বল। এতদিন সিঙ্গল থাকার অভিজ্ঞতায় আমি বুঝেছি—যাদের অনুভব করার ক্ষমতাই কম, তাদের প্রতি আর আমার আগ্রহ নেই।”
মিশমি যোগ করেছেন, ”সংবেদনশীল কাউকে ৬০ বছরে পেতে পারি। বা ৭০ বছর বয়সে পেতে পারি। সেই আশা আছে। কিন্তু এখন আমি কাউকে খুঁজছি না। কাউকে জীবনে ঢুকতে দিতে চাই না। আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি। সন্ন্যাসিনী হয়ে যাব বলে মনে হয়।”
লক্ষণীয় টলিপাড়ার অনেক অভিনেত্রীই এখন সিঙ্গল থাকতে চাইছেন। হয়তো এক সময়ে প্রেম করেছেন। কিন্তু সেখানে এতটাই তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে যে তার প্রভাব কাজের জীবনেও পড়েছে। তারচেয়ে মন দিয়ে কাজ করার দিকে ঝুঁকছেন কিছু অভিনেত্রী। অবশ্য নিজে বিয়ের কথা না ভাবলেও, মিশমি তাঁর বন্ধুদের বিয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। সম্প্রতি তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক বসু আর শার্লি মোদকের বিয়ের নেমন্তন্ন খেতে।
এই মুহূর্তে মিশমির ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকটা চর্চায়। সম্প্রতি ৭০০ পর্ব হয়েছে এই ধারাবাহিকের। দিব্যাণী মণ্ডল আর অভিষেক বসু ধারাবাহিকের নায়িকা আর নায়ক। তাঁদের রসায়নে এই ধারাবাহিক ইদানীং প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিচ্ছে। মিশমির চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ। দর্শকের বিশেষ পছন্দের। নতুন ধারাবাহিকগুলো যখন ২০০ এপিসোড সম্পূর্ণ করার আগেই শেষ হচ্ছে, তখন ‘ফুলকি’-র জনপ্রিয়তা নজরকাড়া।
আরএ/টিএ