ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার (২৩ মে) বোস্টনের ফেডারেল আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মামলায় হার্ভার্ড বলেছে, ‘সরকারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্তে হার্ভার্ড এবং ৭ হাজারের বেশি ভিসাধারীদের ওপর তাৎক্ষণিক এবং বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে। কলমের আঘাতে হার্ভার্ডে আগত মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে এক চতুর্থাংশকে বাদ দিচ্ছে প্রশাসন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারতো।’
মামলায় আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া, হার্ভার্ড হার্ভার্ড নয়।’ প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তারা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখার জন্য একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দাখিল করার পরিকল্পনা করছে।
প্রতিষ্ঠানটির কেনেডি স্কুলের মতো স্নাতক স্কুলগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, প্রায় অর্ধেক। এ ছাড়া হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, নতুন এই পদক্ষেপ হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রীষ্ম এবং শরতের ক্লাসে আসতে বাধা দেয়ার কারণে বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এটি তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলটিকে একটি অসুবিধার মধ্যে ফেলেছে।
হার্ভার্ড ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে অবস্থিত তার ক্যাম্পাসে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করে, যাদের বেশিরভাগই স্নাতক শিক্ষার্থী এবং তারা ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে আসে।
নতুন পদক্ষেপ ঘোষণার কারণ হিসেবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ‘আমেরিকান-বিরোধী, সন্ত্রাস-পন্থী আন্দোলনকারীদের’ ক্যাম্পাসে ইহুদি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার সুযোগ দিয়ে একটি অনিরাপদ ক্যাম্পাস পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ এনেছে হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে। হার্ভার্ডকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সমন্বয়ের জন্যও অভিযুক্ত করেছে প্রশাসন।
আরআর/টিএ