তুরস্কে ৩৬টি প্রদেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৫৬ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সাবাহ।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রয়াত ধর্মপ্রচারক ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী ফেতুল্লাহ গুলেনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা। ইস্তাম্বুলের পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, গুলেনিস্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর (টিএসকে) ৫৬ জন সৈন্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল।
ইস্তাম্বুলের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় জানিয়েছে, আটককৃত সন্দেহভাজনদের মধ্যে চারজন কর্নেল, আটজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল, ১২ জন মেজর, ১৫ জন ক্যাপ্টেন এবং ২৪ জন নন-কমিশনড অফিসার/সার্জেন্ট ছিলেন। বাকিরাও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
তুরস্ক সরকার গুলেনের হিজমেত আন্দোলনকে বোঝাতে ‘ফেতুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠন’ নামটি ব্যবহার করে, যা একসময় নীরবে দেশটির বিভিন্ন খাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছিল। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক সময় ঘনিষ্ঠ হলেও পরে গুলেন হয়ে ওঠেন তার প্রধান রাজনৈতিক শত্রু।
২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুর্কিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বরাবরই গুলেনকে দায়ী করে আসছে তুরস্ক সরকার। ওই অভ্যুত্থানে ২৫২ জন নিহত এবং ২ হাজার ৭৩৪ জন আহত হয়েছিল।
তুরস্কের নিরাপত্তা সূত্র আরও জানিয়েছে যে গত বছরের অক্টোবরে তাদের নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের মৃত্যুর পর এই গোষ্ঠীটি অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। গুলেনের মৃত্যুর পরও বিশ্বজুড়ে গুলেন-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় আঙ্কারা।
টিকে/টিকে