চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ও হামলা-ভাঙচুর এবং ককটেল ফাটিয়ে ছাত্রদের হত্যা চেষ্টা এবং বিস্ফোরক মামলায় যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলুকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিমের অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা এলাকার বাসিন্দা এবং কুসুমপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
কোতোয়ালি ও পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট পটিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি ও হামলা-ভাঙচুর এবং ককটেল ফাটিয়ে ছাত্রদের হত্যা চেষ্টাসহ ২টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু।
ঘটনার একদিন পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপন ছিলেন। দুটি মামলায় দীর্ঘ তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগরীর ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নগরীতে আর কোনো মামলা আছে কি না দেখা হচ্ছে। সোমবার (২৬ মে) বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
কোতোয়ালি থানার মো. আব্দুল করিম বলেন, পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। দীর্ঘ সাড়ে নয় মাস ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
এদিকে এ যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলুর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা জানান, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী অনুসারী ছিলেন বাবলু।
তার ক্ষমতা ব্যবহার করে বাবলু পটিয়া ও কুসুমপুরা এলাকায় ইয়াবা কারবারি করতেন। এমনকি তার পরিবারের সবাই এ ইয়াবা কারবারিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। গত মাসে বাবলুর দুই ভাই জসিম উদ্দিন বাচা ও জামাল উদ্দিন মিন্টুকে মনসারটেক এলাকা থেকে ইয়াবাসহ পটিয়া থানা পুলিশ আটক করে। কিন্তু তখন মূল হোতা যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
আরআর/টিএ