ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। দিন দিন ঢাকার বাতাস দূষিত হয়ে উঠছে। চলতি বছরের শুরুতেই টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) সকাল ৮টায় আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।

১৬৫ স্কোর নিয়ে আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে পাকিস্তানের শহর ‘লাহোর’, যা এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। একই সময়ে ১৫৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের শহর ‘দিল্লি’।

এদিকে ১৫২ স্কোর নিয়ে অস্বাস্থ্যকর শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতনেন্ত্র শহর ‘কিনশাসা’। আর ৬৯ স্কোর নিয়ে এ তালিকায় ৩২তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ‘ঢাকা’।

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

আরএম/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
তিন বছরে জার্মান নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বাতিলের পথে May 28, 2025
img
ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে এআই : অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার ও চুক্তি স্বাক্ষর May 28, 2025
img
জামায়াত নেতা আজহারুলের খালাসে বাম জোটের উদ্বেগ May 28, 2025
img
১০০ কেজির বাঘায়ের মাছ ঘিরে গ্রামের মহোৎসব May 28, 2025
img
আমরা কোনো শর্ত ছাড়াই ক্ষমা চাই, আমাদের ক্ষমা করে দিন : জামায়াত আমির May 28, 2025
img
'শেখ হাসিনার ছেলে এখনও দেশে', ফেসবুক পোস্টে ইলিয়াস হোসেন May 27, 2025
img
ডিবি হারুনকে ‘মেয়ে ব্যবস্থা’ অভিযোগে লায়লার প্রতিক্রিয়া May 27, 2025
img
সরকার থেকে করছাড় পেল ৯ জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান May 27, 2025
কালবিলম্ব না করে ইশরাককে শপথ পড়ান: বিএনপি May 27, 2025
img
ভক্তদের জন্য নতুন ক্লাব নিয়ে ফিরছেন মেসি ও সুয়ারেজ May 27, 2025
এনসিপির যোগ্য নেতৃত্ব না থাকলে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন নেই: হাসনাত May 27, 2025
img
রাবিতে ছাত্রজোট ও শাহবাগ বিরোধীদের সংঘর্ষ May 27, 2025
জামায়াতকে ক্ষমতায় আনার জন্য দলটির আমির যা বললেন May 27, 2025
img
একাদশে জায়গা না পেয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ড তারকার May 27, 2025
img
শুধু ভালো ক্রিকেট নয়, মাঠে স্মার্ট হতে হবে আমাদের: লিটন দাস May 27, 2025
img
গ্লোবাল লিগে রিশাদকে পাওয়া নিয়ে সোহানের প্রতিক্রিয়া May 27, 2025
img
বিএনপি একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে :আমিনুল হক May 27, 2025
img
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির নিরাপত্তা বিষয়ক ১৮ পরামর্শ May 27, 2025
img
মহেশপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশি আটক May 27, 2025
শাকিবকে নিয়ে ‘পোস্ট প্রতিযোগিতায় নামলেন অপু-বুবলি May 27, 2025