"১০ মাসে কী ধরনের সংস্কার হয়েছে? কেউ কি আদৌ পদত্যাগ চেয়েছে?"—এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, "পদত্যাগের কথা বলে জাতিকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে, যার পেছনে কোনো না কোনো রহস্য অবশ্যই রয়েছে। তা না হলে, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মুখে এমন গুঞ্জন কীভাবে শোনা যায়? কেনই বা তিনি পদত্যাগ করবেন?"
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা; সংস্কার ও বাস্তবতা নিয়ে পেশাজীবীদের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খাঁন বলেন, জাতীয় সংলাপ যেন চা-নাস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কী সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটি জাতিকে জানান, নতুবা এই সংলাপ ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সরকার বিদেশিদের তাবেদারি করতে করিডোর-বন্দর দেওয়ার খেলায় মেতেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া বাকিদের পারফরম্যান্স তো দেখি না। প্রধান উপদেষ্টা মাঝেমধ্যে চার বা ছয় মারছেন। জাতির মধ্যে এতে নতুন উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বাকিদের ১০ মাসের ব্যর্থতা দেখলাম। এভাবে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন কোনোটায় সঠিকভাবে হবে না। সঠিকভাবে সবকিছু করার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি।
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লতিফ মাসুম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ইমরান হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ।
আরএ