কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের তোড়া পেলেন আজহার

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম।


আজ বুধবার (২৭ মে) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিক্যালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান এটিএম আজহারুল ইসলাম। এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।


এদিকে মুক্তি পাওয়ার পর পরই শাহবাগে আয়োজিত দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন আজহারুল ইসলাম।


এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা মঞ্চে দেওয়া বক্তব্যে আজহারুল ইসলাম আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। বারবার তার কণ্ঠ থেমে যাচ্ছিল। ভারী কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৪ বছর পর আমি আজ ছাড়া পেলাম।

আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি এখন স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক। আল্লাহ যদি তৌফিক দেন, অবশ্যই বাকি জীবন আপনাদের সঙ্গেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড থেকে খালাস পান জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয় ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় গতকাল মঙ্গলবার বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দেন। ছয় বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারের আপিল শুনে এ রায় দেওয়া হয়। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলে এই প্রথম কেউ খালাস পেলেন।

গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর আজহারুল মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা আপিল করেন। প্রথম দফায় ২০১৯ সালে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছিলেন তৎকালীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।

আজহারুলের খালাসের রায় ঘোষণার পরপরই গতকাল দুপুরে আপিল বিভাগ থেকে বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর বিধি অনুযায়ী তার মুক্তির বিষয়ে আদেশ জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর যারা ক্ষমতায় বসেছিল, তারা আওয়ামী লীগের একটি অংশ ছিল: দুলু May 31, 2025
বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল: এতদিন কোথায় ছিলেন, কী করতেন ? May 31, 2025
img
শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না হয়: ডাঃ তাহের May 31, 2025
img
জিএম কাদেরের বাসায় হামলার মামলা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেকর্ড না হলে থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা May 31, 2025
img
জামায়াতকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না, থুথু দিয়ে ভাসিয়েও দেয়া যাবে না: ড. মাসুদ May 31, 2025
img
অন্যায়ভাবে নাহিদ এবং আমাকে টেনে আনা হয়েছে: ফয়েজ আহমদ May 31, 2025
img
জার্মানিতে বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ল বিমান May 31, 2025
img
সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন, ময়মনসিংহের গৌরীপুরে আটক ভারতীয় নারী May 31, 2025
img
চিকিৎসা শুরুর আগেই দীপিকার শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যানসার? May 31, 2025
img
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জলাবদ্ধতা, যানজটের ভোগান্তি May 31, 2025
img
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় থানার ওসিকে প্রত্যাহার May 31, 2025
img
বরিশালে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা May 31, 2025
img
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে শাসক আবারও দানবে পরিণত হতে পারে: ড. বদিউল আলম মজুমদার May 31, 2025
img
বিসিবির নতুন নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছে আইসিসি : ক্রীড়া উপদেষ্টা May 31, 2025
img
এনসিপির সঙ্গে ৩ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের দূতাবাস প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত May 31, 2025
img
চাঁদপুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কিশোরের May 31, 2025
img
রোববার সারা দেশে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস May 31, 2025
img
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষ, আহত ৩ May 31, 2025
img
হাড় ভালো রাখতে যা খাবেন May 31, 2025
জিলহজ মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল | ইসলামিক জ্ঞান May 31, 2025